কিশোরগঞ্জে সহকারী শিক্ষিকা মিতালি চক্রবর্তীর ওপর হামলা ও শ্লীলতাহানি! অভিযুক্ত সহকর্মীর স্বামী!
কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলায় সহকারী শিক্ষিকা মিতালি চক্রবর্তীর ওপর হামলা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অভিযুক্ত হচ্ছেন পার্শ্ববর্তী রামদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. এনামুল হক। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষিকার স্বামী শশাংক গোস্বামীও মারধরের শিকার হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বড়চর মোহাম্মদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। জানা যায়, বিদ্যালয়ের জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সহকর্মী বিলকিস আক্তার সোমার সঙ্গে শিক্ষিকা মিতালি চক্রবর্তীর বাকবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে সোমা তার স্বামী এনামুল হককে ডেকে আনেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, এনামুল হক বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকদের উপস্থিতিতেই কোনো রকম আলোচনা ছাড়াই মিতালি চক্রবর্তীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন এবং শ্লীলতাহানি ঘটান। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত তার স্বামী শশাংক গোস্বামী বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেন। তবে এর পর থেকে ভুক্তভোগী শিক্ষিকা ও তার পরিবার নানা ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকির শিকার হচ্ছেন।
নিরাপত্তাহীনতার কারণে ভুক্তভোগী শিক্ষিকা বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুলিয়ারচর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার ওসি (তদন্ত) খোকন চন্দ্র সরকার বলেন,
> "সহকারী শিক্ষিকা মিতালি চক্রবর্তী একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
ঘটনার পর থেকে স্থানীয় শিক্ষক মহলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষক সমাজ ও স্থানীয় অভিভাবকরা ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।