
বানারীপাড়ায় ভাইদের মঙ্গল কামনায় ত্রিশ বোনের শনিদেবের পুজা
সুমন দেবনাথ, বরিশাল প্রতিনিধি :
শনি সনাতন হিন্দু ধর্মের একজন দেবতা যিনি সূর্যদেব ও তার পত্নী ছায়াদেবীর (সূর্যদেবের স্ত্রী ও দেব বিশ্বকর্মার কন্যা দেবী সংজ্ঞার ছায়া থেকে সৃষ্ট দেবী ছায়া) পুত্র, এজন্য তাকে ছায়াপুত্র-ও বলা হয়।
শনিদেব মৃত্যু ও ন্যায় বিচারের দেবতা যমদেব বা ধর্মরাজ ও পবিত্র শ্রী যমুনা দেবীর অনুজ ভ্রাতা। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মতে একদিন শনির ধ্যানের সময়, তার স্ত্রী দেবী ধামিনী সুন্দর বেশভূষা নিয়ে তার সামনে এলে ধ্যানমগ্ন শনিদেব সেদিকে খেয়াল না করাতে পত্নী ধামিনী বা মন্দা শনিদেবকে অভিশাপ দিলেন, আমার দিকে তুমি ফিরেও চাইলে না! এরপর থেকে যার দিকে চাইবে, সে-ই ভস্ম হয়ে যাবে।
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাছরং(৪ নং ওয়ার্ড) গ্রামের পুর্বপাড়া মিস্ত্রী বাড়িতে ,এক সাথে ৩০ জন বোন ভাইদের জন্য মঙ্গল কামনায় শনিদেবের পুজা করেছেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এলাকাবাসী সহ অত্র এলাকার গন্য মান্য ব্যাক্তিবর্গ।
রাজ্জাকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বিজয়া রানী মন্ডল এর উদ্যোগে এই পুজা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য আছে শনিদেবের স্বপ্নে দেখানো নির্দেশনা অনুযায়ী এই পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অত্র অঞ্চল সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামে এমন পুজার দৃষ্টান্ত দেখা যাচ্ছে।
গ্রামে ঘুরে ভিক্ষা করে পাওয়া অর্থ ও চাল দিয়েই এই পুজা সম্পন্ন করা হয়। এই এলাকায় অবস্থানরত সকল সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ এর মাঝে এই পুজা দেখে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন শনিদেবের এই পুজার মাধ্যমে তাদের ভাইদের মঙ্গল সাধিত হবে এবং এমন পুজার মাধ্যমে সনাতন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিশ্বাস ও ভক্তিকে আরো বেশি জাগ্রত করবে।
শনিবারে শনিদেবের পূজা করা শুভ। প্রতি শনিবার এই পুজায় মিলবে শনিদেবের কৃপা, আসে সাফল্য। অনেক বাঙালি বাড়িতে শনিদেবের পূজা করা হয় না, কারণ অনেকে শনিদেবকে ভয় করেন। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে কারোর কুষ্ঠিতে শনিদেবের প্রবেশ ঘটলে সাড়ে সাত বছর ধরে জীবনের নানাবিদ খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
সনাতন ধর্ম অনুসারে প্রতি শনিবার কিছু নিয়ম মেনে চললে ও শনি মন্ত্র জপ করলে শনিদেব প্রসন্ন হন। এতে তার কৃপা লাভ হয়।