
শংকর মঠের দানবাক্সের টাকা চুরি হয়নি, অপপ্রচার চালাচ্ছে কুচক্রী মহল: অভিযোগে ট্রাস্ট কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব কর্মকার।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশালের ঐতিহ্যবাহী শংকর মঠকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে "দানবাক্সের টাকা চুরি" নিয়ে যে সংবাদ ও আলোচনা ছড়ানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানিয়েছে শ্রীমৎ স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী ট্রাস্ট কমিটি। ট্রাস্ট কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব কর্মকার ভাষাই শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে জানান, শংকর মঠের দানবাক্স থেকে অর্থ উত্তোলন একটি নিয়মিত কার্যক্রম। দীর্ঘদিন যাবত সঠিক প্রক্রিয়ায় দানবাক্সের অর্থ ট্রাস্ট কমিটি উত্তোলন করে জনতা ব্যাংক নতুন বাজার শাখায় জমা রাখে। এই অর্থ মঠের ছাত্রাবাস পরিচালনা এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে এসব উন্নয়ন কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। ফলে দানবাক্সের টাকা চুরির অভিযোগ সম্পূর্ণ গুজব এবং ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, "দানবাক্সের টাকা চুরি নিয়ে যে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে তা পরিকল্পিত। এমনকি শংকর মঠের নামে একটি ভুয়া ফেসবুক পেইজ খুলে এসব মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে। এ পেইজ ট্রাস্ট কমিটির অনুমোদনবিহীন, এবং এটি সম্পূর্ণ অনৈতিক।" তিনি আরও জানান, শিগগিরই ওই ভুয়া পেইজের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিজিৎ মহেশ, সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক, শ্রী শংকর মঠ পূজা
উদযাপন কমিটি এবং আহ্বায়ক, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোট (বরিশাল মহানগর), জানান-কিছু কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন ধরে ট্রাস্ট কমিটিকে হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্র করে আসছে। বাসুদেব কর্মকার ভাষাইয়ের দৃঢ় অবস্থান তাদের অবাধ লুটপাটের পথ রুদ্ধ করেছে। তাই তারা এখন মিথ্যা অভিযোগ ছড়িয়ে তাকে সরানোর চেষ্টা করছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, "অতীতে শংকর মঠ পূজা কমিটির কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিল। তখন ট্রাস্ট কমিটি সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়। এ কারণেই আজ তারা প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে মিথ্যা অপবাদ রটাচ্ছে।" সনাতনী সমাজের নেতৃবৃন্দ জানান, শংকর মঠের দানবাক্সের প্রতিটি অর্থ সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও উন্নয়নে ব্যয় হচ্ছে। দানবাক্স থেকে এক টাকা চুরিও হয়নি। এই অপপ্রচার কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। তারা আরও বলেন, "এই ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার কেবল মঠ নয়, পুরো সনাতনী সমাজকেই আঘাত করছে। তাই প্রশাসনের কাছে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি, ভুয়া পেইজ পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।" শংকর মঠ ট্রাস্ট কমিটির
সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব কর্মকার ভাষাই স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন "গুজবের মাধ্যমে কাউকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। ট্রাস্ট কমিটি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে এবং করবে। এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"