
ক্ষমতায় গেলে শ্মশানঘাট ও মন্দিরের উন্নয়ন করবে জামায়াত: গোলাম পরওয়ার
খুলনা প্রতিবেদক HindusNews:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপাসনালয় ও শ্মশানঘাটসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শলুয়া বাজারের ঈদগাহ ময়দান এবং ফুলতলার আটরা গিলাতলায় আয়োজিত দু’টি পৃথক ভোটার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষিত সময়ের আগেই ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় যে সিদ্ধান্তগুলো হয়েছে সেগুলো লিখিতভাবে প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায় মৌখিক স্বীকৃতির জুলাই সনদ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।”
অতীতের নির্যাতন, ভোটবিহীন নির্বাচন ও ‘রাতের ভোট’-এর অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “২০০৯ সালে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ২০১৪ সালে ভোটবিহীন নির্বাচন, ২০১৮ সালে রাতের ভোট এবং ২০২৪ সালে ডামি প্রার্থী ব্যবহার করে কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করা হয়েছিল। তবে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণ গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেয়েছে।”
নিজের সময়কালে এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উল্লেখ করে গোলাম পরওয়ার বলেন, “আমার সময়ে ফুলতলা-ডুমুরিয়ায় প্রায় সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য শ্মশানঘাট নির্মাণ, মন্দির উন্নয়ন, নতুন রাস্তা, বিদ্যুতায়ন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেছি। আগামী নির্বাচনে সুযোগ পেলে অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার পাশাপাশি বিল ডাকাতিয়ার স্থায়ী সমাধান করব।”
তিনি আরও বলেন, “জামায়াত একটি মানবিক কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়তে চায়, যেখানে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বিভাজন থাকবে না, সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে। যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা হবে এবং চাকরি না পেলে বেকার ভাতা চালু করা হবে। ক্ষমতায় গেলে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনই হবে জামায়াতের মূল লক্ষ্য।”
দিনব্যাপী এ দু’টি ভোটার সমাবেশে স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ের জামায়াতে ইসলামী নেতারা বক্তব্য রাখেন।