
লাভ জিহাদে বাধা দেওয়ায় হিন্দু শিক্ষকের সম্মানহানি করে ছাত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
৮ম শ্রেনীর হিন্দু ছাত্রী কে লাভ জিহাদে এবং অনৈতিক কর্মকান্ডে বাধা দেওয়ায় হিন্দু শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে শিক্ষকের শাস্তি এবং বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষর্থী এবং অবিভাবকেরা।
এই ঘটনা ঘটে নাটোর জেলা বড়ইগ্রাম উপজেলার দাড়িকুশি উচ্চ বিদ্যালয়ে। শিক্ষক সুমির কুমার মণ্ডলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার। শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মানববন্ধন করে ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার।
শিক্ষক সুমির কুমার মণ্ডল ওই বিদ্যালয়ের হিন্দু শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। ওই শিক্ষককে সাত কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি।
জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের এক হিন্দু ছাত্রী এবং এক জিাহাদী মুসলিম ছাত্রের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বৃহস্পতিবার ওই দুই শিক্ষার্থীর ছেলের ওয়াশরুমে ঢুকে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে। এই অবস্থায় দেখে ফেলে বিদ্যালয়ের অন্য দুই শিক্ষার্থী। বিষয়টি তারা শিক্ষক সুমির কুমারকে জানায়। পরে শিক্ষক সুমির কুমার মন্ডল ওই হিন্দু শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে লাভ জিহাদ সম্পর্কে সাবধান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হিন্দু শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনৈতিক কুপ্রস্তাব দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ তুলে ওই হিন্দু ছাত্রী।
ওই হিন্দু ছাত্রী জানায় ‘সহপাঠী একটি ছেলের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক আছে। এটা তিনি মেনে নিতে না পেরে আমাকে ক্লাস করার নাম করে বিদ্যালয়ের চতুর্থ তলায় ডেকে নিয়ে অনৈতিক কুপ্রস্তাব দেন। আমি এই ঘটনার জন্য বিচার চাই।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সভাপতির উপস্থিতিতে সহকারী প্রধান শিক্ষক মুজিবর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। সেই অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে সুমির কুমার মণ্ডলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শিক্ষক সুমির কুমার বলেন, ‘ওই মেয়েটি হিন্দু হয়ে মুসলিম ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক জড়িয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করছে। আমি নিষেধ করায় আমার ওপর মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।’
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’