
দুর্গা পূজায় ৩ দিনের সরকারি ছুটির দাবি হিন্দু মহাজোটের
নিজস্ব প্রতিবেদক, HindusNews:
বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে অষ্টমী, নবমী ও বিজয়া দশমী—এই তিন দিনে সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। এ ছাড়া পূজা চলাকালীন সারাদেশের মন্দির ও মণ্ডপে নিরাপত্তা জোরদার, সরকারি খরচে সিসি ক্যামেরা বসানো, সেনাবাহিনীর টহল ও একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠনের দাবিও জানানো হয়।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দুর্গা পূজায় নিরাপত্তা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির মুখপাত্র ও নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে। তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় আয়োজনের মূল তিন দিন অষ্টমী, নবমী ও দশমী হলেও বর্তমানে সরকারি ছুটি আছে মাত্র দুই দিন। আগে ছিল একদিন, বর্তমান সরকার সেটি দু’দিন করেছে, তবে আমাদের মূল দাবি তিন দিনের ছুটি। এর ফলে বহু ভক্ত পূজার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পূজার অনুষ্ঠান ও পারিবারিক আনন্দে সম্পূর্ণভাবে অংশ নিতে পারেন না। তাই এ বছর থেকেই তিন দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
তিনি আরও জানান, পূজা ও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায়ের অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। পূজার আগে ও পরে, এমনকি নির্বাচনের আগ-পরে মন্দির, পূজা মণ্ডপ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে চারটি জেলায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে এবং পূজার বাকি দিনগুলোতেও এ ধরনের হামলা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। এ পরিস্থিতিতে এখন থেকেই পূজা মণ্ডপ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
পলাশ কান্তি দে বলেন, সারা দেশে প্রতিটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্দিরে সরকারি খরচে সিসি ক্যামেরা বসানোর এবং পূজার অন্তত ১০ দিন আগে থেকে পূজা চলাকালীন নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানাচ্ছি। একইসাথে সেনাবাহিনীর টহল এবং কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠনের মাধ্যমে পূজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি ড. প্রভাস চন্দ্র রায়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী, গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার দেবনাথ, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জোটের সভাপতি শ্যামল কুমার রায়সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।