

প্রতিমা ভাঙচুরে জড়িত দুই মুসলিম কিশোরের স্বীকারোক্তি! পুলিশের প্রাথমিক দাবি ছিল ‘বাতাসে ভেঙেছে’!
HindusNews ডেস্ক:
গাজীপুরের কাশিমপুর শ্মশান মন্দিরে নির্মাণাধীন দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় দুই মুসলিম কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে কাশিমপুর থানা পুলিশ। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রতিমা ভাঙচুরের এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের ৩নং ওয়ার্ডের বারেন্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেহেদী হাসান সুমন ওরফে রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই ওয়ার্ডের হাতিমারা এলাকা থেকে নাজমুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত দুজনই পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বিকেলে মেহেদী হাসান সুমন ওরফে রাকিব ও নাজমুল ইসলাম প্রতিমা তৈরির কাজ দেখতে গেলে কারিগররা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা সন্ধ্যার দিকে প্রতিমার প্যান্ডেলের আশপাশ ফাঁকা থাকায় ভিতরে প্রবেশ করে প্রতিমা ভাঙচুর করে। প্রথমে নাজমুল ইসলাম প্রতিমা ভাঙচুর শুরু করলে পরে তার সঙ্গে যোগ দেয় মেহেদী হাসান সুমন।
কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতরা কিশোর হওয়ায় তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হবে।”
এদিকে ঘটনার পরদিন (১৮ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু নাসের মো. আল আমিন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, “কাল সারাদিন বৃষ্টি ও বাতাস ছিল, বাতাসেই প্রতিমা ভেঙে গিয়েছে, এর বাইরে কিছু নয়।”
স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনার পর এমন মন্তব্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও ন্যায্য বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তারা দ্রুত ঘটনার সঠিক তদন্ত ও ন্যায্য বিচারের দাবি জানিয়েছেন।