
পূজা এলে দূর্গা, ঈদ এলে মুসলিম!অপু বিশ্বাসের ধর্মীয় আচরণ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা নাকি দ্বৈত পরিচয়?
শুভ রায়,নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাসের ব্যক্তিগত জীবন ও ধর্মীয় আচরণ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করলেও, সাম্প্রতিক সময়ে তার নামাজ পড়া, হিন্দু ধর্মীয় পূজায় অংশ নেওয়া ও প্রতীকীভাবে ‘দূর্গা’ রূপে নিজেকে উপস্থাপন করার মতো ঘটনাগুলো জনমনে প্রশ্ন তুলেছে।
শাকিব খানের সঙ্গে মুসলিম রীতিতে বিয়ের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই তার ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে বিতর্ক ছিল। সাম্প্রতিক ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় সেই বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে। অনেকেই বলছেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা, নামাজ পড়া বা পূজায় অংশ নেওয়া একজন মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা হলেও, একজন জনপ্রিয় তারকার ক্ষেত্রে বিষয়টি কেবল ব্যক্তিগত থাকে না; এটি সামাজিক প্রভাব ফেলে এবং তরুণ প্রজন্মকে প্রভাবিত করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিগত স্বাধীনতার সঙ্গে দায়িত্বও রয়েছে। একজন সাধারণ মানুষ যদি একইসঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন ধর্মীয় আচার পালন করেন, তা তার নিজস্ব বিষয়। কিন্তু একজন পরিচিত তারকা যদি এভাবে আচরণ করেন, তা সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে এবং ধর্মীয় সংবেদনশীলতায় আঘাত লাগার আশঙ্কা থাকে।
নেটিজেনরা বলছেন,হিন্দু হলে গর্বের সঙ্গে বলুন, মুসলিম হলে সম্মানের সঙ্গে মানুন। কিন্তু একসঙ্গে দুই পরিচয় তুলে ধরা বিভ্রান্তি ছাড়া আর কিছু নয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা বা ধর্মীয় জীবনে সক্রিয় থাকা প্রশংসনীয় হলেও পরিচয় স্পষ্ট রাখা তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পরিচয় অস্পষ্ট হলে তা শুধু ব্যক্তিগত নয়, সমাজের জন্যও বিভ্রান্তিকর হয়ে ওঠে।
ব্যক্তিগত স্বাধীনতার সঙ্গে সৎ ও স্বচ্ছ পরিচয় প্রকাশ করা প্রত্যেকের নৈতিক কর্তব্য। জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বরা যদি নিজেদের ধর্মীয় পরিচয় সৎভাবে প্রকাশ করেন, বিভ্রান্তির সুযোগ থাকবে না। তবে শেষ পর্যন্ত একজন মানুষের ব্যক্তিগত বিশ্বাস তার নিজস্ব বিষয়—অন্যেরা কেবল প্রশ্ন তুলতে ও আলোচনা করতে পারে, সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি নিজেই।