
২০২১ সালের র*ক্তাক্ত শারদ: এক দুঃস্বপ্নের স্মৃতি এবং ন্যায়বিচারের প্রশ্ন
নিউজ প্রতিবেদন:
২০২১ সালের শারদ উৎসব বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য এক দুঃস্বপ্নের স্মৃতি নিয়ে এসেছিল। কুমিল্লায় ঘটা গদা ইকবাল কাণ্ডের পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষ করে কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং চাঁদপুরে ঘটে যাওয়া নৃশংস হামলা, ভাঙচুর ও নির্যাতনে প্রাণ হারান শ্রী মানিক সাহা, শ্রী যতন সাহা, শ্রী প্রান্ত চন্দ্র দাস সহ আরও অনেকে। এই বর্বর ঘটনা শুধু সনাতন সমাজ নয়, পুরো দেশকে স্তম্ভিত করেছিল।
আজ থেকে মাত্র ৪ বছর আগে ঘটে যাওয়া এই মধ্যযুগীয় বর্বরতা কি আমরা ভুলে গিয়েছি? যারা সেদিন নিজেদের জীবন দিয়েছিলেন স্বজাতির ধর্মীয় জাগরণের জন্য, তাদের আত্মত্যাগ কি বৃথা যাবে? কেমন আছে তাদের পরিবার, যারা নিজেদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন? এই প্রশ্নগুলো আজও আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়।
ঘটনার চার বছর পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো আজও ন্যায়বিচারের প্রতীক্ষায়। ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, বাস্তবে এই ধরনের ঘটনাগুলো বারবার প্রশ্ন তোলে। এই ঘটনাগুলো সনাতন সমাজের ধর্মীয় জাগরণের পেছনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, যা তাদের আরও ঐক্যবদ্ধ ও সচেতন করেছে।
আমরা মন্দির কমিটির এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানাই, যারা এই শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে কাজ করে যাচ্ছেন। এটি শুধু নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য এক সতর্কবার্তা, যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সরকারের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা অপরিহার্য।