
হিন্দুরা কোনো দলের সম্পত্তি নয় : বিএনপি নেতা মোশাররফ
HindusNews ডেস্ক :
পটুয়াখালীর মহিপুর, আলিপুর ও কুয়াকাটার বিভিন্ন দুর্গাপূজামণ্ডপে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন এক অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বক্তব্য রেখেছেন। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ভক্ত-অনুরাগীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “আপনি ততক্ষণ নেতা, যতক্ষণ জনগণ আপনার পাশে আছে। জনগণ যদি আপনার পাশে না থাকে তবে আপনি কীসের নেতা।” তিনি উল্লেখ করেন, দেশের একটি রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু সম্প্রদায়কে তাদের সম্পত্তি মনে করে আসছে, কিন্তু হিন্দুরা কোনো দলের সম্পত্তি নয়। বাংলাদেশের মানুষ সবাই সমান, আমরা সবাই বাংলাদেশি— এটিই আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়। সংখ্যালঘু বলে কোনো আলাদা পরিচয় তিনি মানতে চান না বলেও জানান।
মোশাররফ হোসেন তার বক্তব্যে রাষ্ট্রীয় অধিকার প্রসঙ্গও তোলেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্র যেমন তাকে অধিকার দিয়েছে, তেমনি প্রতিটি নাগরিককেও সমান অধিকার দিয়েছে। বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল, যারা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার নিয়ে সবসময় কাজ করে। তিনি অতীতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ৫ থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত দেশে কার্যত কোনো সরকার ছিল না। সে সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীরাই হিন্দুসহ ভিন্ন মতাদর্শের মানুষদের রক্ষায় মাঠে নেমেছিল। গ্রামে গ্রামে, পাড়া-মহল্লায় গিয়ে পাহারা দিয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখেছিল তারা। এই কারণেই জনগণের আস্থা বিএনপির সবচেয়ে বড় শক্তি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নিজের অবস্থানও পরিষ্কার করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপির সরকার গঠনের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তবে ক্ষমতায় যাওয়া বা না যাওয়া যে বিষয়টি বড় নয়, সেটিও তিনি উল্লেখ করেন। তার ভাষায়, বিএনপি সবসময় জনগণের পাশে থাকবে, জান-মাল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মহিপুর থানা বিএনপির সভাপতি মো. জলিল হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহজাহান পারভেজ, কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আ. আজিজ মুসুল্লি, সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান হাওলাদারসহ স্থানীয় পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা। পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি ভক্ত-দর্শনার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব উদযাপনের আহ্বান জানান।