
ইসকনকে নিয়ে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, নামধারী হিন্দুর এমন অবস্থান নিয়ে তীব্র সমালোচনা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশের জাতীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি ইত্তেফাক-এ প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি এক বিতর্কিত ব্যক্তিত্বের মন্তব্যে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
নিজেকে হিন্দু পরিচয়দানকারী হলেও হিন্দুদের অধিকার নিয়ে কখনোই সোচ্চার না হওয়া এই ব্যক্তি এবার সরাসরি ইসকনকে লক্ষ্যবস্তু বানান।
সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন— “হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই, কিন্তু ইসকন হিন্দুদের ভাই নয়; বরং ইসকনই নাকি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় শত্রু। তাই ইসকনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে।” এ বক্তব্যের সঙ্গে আরও নানা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য যোগ করেন তিনি, যা ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
সমালোচকরা বলছেন, হিন্দুদের অধিকার প্রশ্নে যিনি কখনোই একটিবার মুখ খোলেননি, তিনি এখন হঠাৎ করেই ইসকন-বিরোধী হয়ে মাঠে নামলেন—এটা নিছকই স্বার্থসিদ্ধির কৌশল। সামাজিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তাঁর এসব বক্তব্য মূলত পদ-পদবি, প্রতিষ্ঠা এবং অর্থলাভের আশায় দেওয়া। অনেকে কটাক্ষ করে বলছেন, “এমন মন্তব্য করতে তাঁর পকেটে কত টাকা ঢুকেছে, সেটাই এখন প্রশ্ন।”
হিন্দু সমাজের বিশিষ্টজনেরা মনে করছেন, ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভেতর বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাঁদের মতে, বাইরের শত্রু যতটা না ক্ষতিকর, ভেতরের তথাকথিত ‘বকধার্মিক’রা তার চেয়েও ভয়ংকর। হিন্দু বিদ্বেষী মনোভাব লুকিয়ে রেখে নামমাত্র ধর্মীয় পরিচয় বহনকারীরা প্রকৃত হিন্দু সমাজের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই মন্তব্য করছেন— “ঘরের শত্রু থাকলে বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হয় না। Lite Version-এর মতো চরিত্ররা হিন্দু সমাজের জন্য ভেতর থেকেই ধ্বংস ডেকে আনে।”
হিন্দু সমাজের দাবি, রাষ্ট্র ও প্রশাসনকে উচিত এসব উস্কানিমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে করে সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ না ছড়ায়।