
নিখোঁজের তিন দিন পর ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সুনীল আচার্য্যের মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিলেট জেলার বিয়ানীবাজারে নিখোঁজের তিন দিন পর ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সুনীল আচার্য্য (৫০)-এর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (৫ অক্টোবর) সকালে বিয়ানীবাজার পৌরশহরের খাসা এলাকায় নিজ বাড়ির অদূরে এক নির্জন পরিত্যক্ত স্থান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুনীল আচার্য্য বিয়ানীবাজার পৌর এলাকার কসবা কুয়ারপার গ্রামের সুখময় আচার্যের ছেলে। স্থানীয়ভাবে তিনি একজন দক্ষ ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে এই পেশায় যুক্ত ছিলেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুর্গাপূজার দশমীর রাতে সুনীল আচার্য্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি আর ফেরেননি। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও কোনো সন্ধান না পেয়ে বিয়ানীবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিন দিন পর সকালে স্থানীয়রা তাঁর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
নিহতের স্বজনদের মতে, সুনীল আচার্য্য ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী ও সহজ-সরল মানুষ। এলাকায় তাঁর কোনো শত্রুতা বা বিরোধ ছিল না। তাই তাঁর এমন মৃত্যুতে পরিবারসহ পুরো এলাকাবাসী হতবাক। তাঁরা জানান, দুর্গাপূজার আনন্দঘন সময়ের মধ্যে এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা কারো কল্পনাতেও ছিল না।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘটনাস্থলটি জনবহুল এলাকা থেকে কিছুটা দূরে এবং রাতে সেখানে সচরাচর কেউ যায় না। সুনীল কীভাবে সেখানে গেলেন, কিংবা তাঁকে সেখানে ফেলা হলো কিনা—তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
বিয়ানীবাজার থানার তদন্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছবেদ আলী বলেন,
> “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।”
তিনি আরও জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন হলে পুলিশ বিষয়টি হত্যা মামলা হিসেবে বিবেচনা করবে।
সুনীল আচার্য্যের মৃত্যুর খবরে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। প্রতিবেশী ও সহকর্মীরা জানিয়েছেন, তিনি ছিলেন পরিশ্রমী ও নিরহঙ্কার মানুষ। তাঁর অকাল মৃত্যুতে পরিবারসহ সমগ্র কসবা কুয়ারপার গ্রামজুড়ে শোকের আবহ বিরাজ করছে।