

ফেসবুকে মুসলিম যুবক কর্তৃক হিন্দু দেব-দেবীর নামে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য! দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
শুভ চন্দ্র রায়, নিজস্ব প্রতিবেদক :
সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মীয় অবমাননাকর মন্তব্য ঘিরে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি ফেসবুকে প্রকাশিত এক পোস্টের নিচে এক মুসলিম যুবকের মন্তব্য সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে গভীর আঘাত হেনেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমজুড়ে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফেসবুকে একটি ধর্মীয় বিষয়ক পোস্টের নিচে ওই যুবক মন্তব্য করেন, যা সনাতন ধর্ম ও তার উপাস্য দেবদেবীদের অবমাননাকর ভাষায় লেখা ছিল। মুহূর্তের মধ্যেই মন্তব্যটির স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজে তা ভাইরাল হয়। এতে অসংখ্য নেটিজেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, এই মন্তব্য শুধু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেনি, বরং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশকেও অস্থিতিশীল করার আশঙ্কা তৈরি করেছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে, এমন আচরণ একটি সংবেদনশীল সমাজে অশান্তির জন্ম দিতে পারে এবং এটি পরিকল্পিত উসকানির অংশ হতে পারে।
ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও সচেতন নাগরিকরা বলছেন, বাংলাদেশের সামাজিক সম্প্রীতি ও সহাবস্থান সংস্কৃতি শতাব্দী প্রাচীন। এ ধরনের মন্তব্য সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত তদন্ত ও দোষীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০২৪”-এর আওতায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো পোস্ট, মন্তব্য বা প্রচার একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো চাইলে এই ঘটনায় তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনতে পারে।
একজন আইনজীবী বলেন,
> “যে কোনো ধর্ম বা সম্প্রদায়কে অপমানজনকভাবে উপস্থাপন করা সামাজিক সম্প্রীতির জন্য বিপজ্জনক। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এমন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণই একমাত্র উপায়।”
এদিকে স্থানীয় সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যার সমাধান চেয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, ধর্মীয় সহনশীলতা ও পারস্পরিক সম্মান বাংলাদেশের ঐতিহ্য, তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দায়িত্বশীল আচরণ করা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য।