
অপরাধীদের দল-মতের ঊর্ধ্বে আইনের আওতায় আনা হবে : পুলিশ সুপার
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামে এখন টেলিভিশনের সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম সানতু বলেছেন : “অপরাধীরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকেই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।”
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশ সুপার সানতু বলেন, “জঙ্গল সলিমপুর এলাকাটি এখন অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে, যা প্রশাসনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সাংবাদিকদের সহযোগিতায় আমরা সন্ত্রাসীদের মুখোশ উন্মোচন করব।”
তিনি আরও বলেন, “সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। যারা হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে— অচিরেই তারা আইনের মুখোমুখি হবে।”
সভায় হামলার শিকার হোসাইন জিয়াদ, এখন টিভির ব্যুরো প্রধান ও চট্টগ্রাম টেলিভিশন রিপোর্টার্স নেটওয়ার্কের (সিটিআরএন) আহ্বায়ক, নিজের ওপর সংঘটিত হামলার বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “এ ধরনের হামলা কেবল একজন সাংবাদিকের উপর নয়, পুরো সাংবাদিক সমাজের উপর আঘাত। এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি।”
এরপর সিটিআরএন-এর পক্ষ থেকে পুলিশ সুপারের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন শাহনেওয়াজ রিটন। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের টিভি ইউনিট প্রধান তৌহিদুল আলম, সাংবাদিক সোহাগ কুমার বিশ্বাস, লতিফা আনসারী রুনা, আকরাম হোসেন, মুজিবুল হক, আহমেদ রাকিব, সাইফুল ইসলাম, এবং ক্যামেরা জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এনামুল হক।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, সিটিআরএনের যুগ্ম আহ্বায়ক একে আজাদ, নির্বাহী সদস্য আরিচ আহমেদ শাহ ও তাম্মিম মাহামুদসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন টেলিভিশন প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের উপর বারবার হামলা মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য হুমকিস্বরূপ। প্রশাসনের উচিত এই ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।