
গানের জাদুকরী মৈথিলী ঠাকুরের রাজনীতিতে পদার্পণ? বিহার বিধানসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী হওয়ার জল্পনা
HindusNews ডেস্ক :
ভারতের জনপ্রিয় গায়িকা মৈথিলী ঠাকুরকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে নতুন গুঞ্জন ছড়িয়েছে। বিহার রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মাঠে নামতে পারেন এমন খবর পাওয়া গেছে।
গায়কী দিয়ে কোটি মানুষের মন জয় করা মৈথিলী ঠাকুর ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এবার রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায়-এর সঙ্গে মৈথিলীর ৫ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে সাক্ষাতের পর থেকে।
সাক্ষাতের পর বিহার বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বিনোদ তাওড়ের সঙ্গে মৈথিলীর একটি ছবি প্রকাশ্যে আসে। তাওড়ে নিজের সাবেক টুইটার (এক্স) অ্যাকাউন্টে ছবিটি পোস্ট করে মৈথিলীকে স্বাগত জানিয়ে ‘বিহার-কন্যা’ উল্লেখ করেন। এরপর আরজেডিকেই (রাষ্ট্রীয় জনতা দল) উদ্দেশ্য করে তাওড়ে বলেন,
“১৯৯৫ সালে লালুপ্রসাদ যাদবের আমলে মৈথিলী ঠাকুরের পরিবার বিহার ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। এখন পরিবর্তনের এই বিহারে সেই পরিবার ফিরতে চায়।”
সাক্ষাত শেষে মৈথিলী ও তার পরিবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও বিজেপি নেতৃত্বকে কৃতজ্ঞতা জানান। মৈথিলী বলেন,
“যারা বিহারের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখেন, তাদের প্রত্যেকের কথা আমার কাছে অনুপ্রেরণার মতো। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।”
তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, বিহার ও এখানকার মানুষের জন্য তিনি কাজ করতে চান এবং রাজ্যকে আরও উচ্চতায় পৌঁছে দিতে চান। ফলে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে এই সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা জল্পনা – তিনি কি আসন্ন বিহার নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন?
মৈথিলীর বাড়ি বিহারের মধুবনী জেলার বেনিপট্টি। মিথিলা অঞ্চল – মধুবনী ও দ্বারভাঙা – এখানেই তিনি পরিচিতি অর্জন করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিজেপি যদি তাকে প্রার্থী করে, তবে মধুবনী বা দ্বারভাঙার কোনো আসন থেকেই তার প্রার্থীতা হতে পারে।
গায়িকা ভোজপুরি, হিন্দি ও অন্যান্য একাধিক ভাষায় গান গেয়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন। ২০২৪ সালে মায়ের সঙ্গে গাওয়া একটি গান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মুগ্ধ করেছিল। ওই গানটির উল্লেখ তিনি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের সময়ও করেছিলেন।
উল্লেখ্য, বিহারে আগামী নভেম্বর মাসে ভোটগ্রহণ হবে দুই দফায় – ৬ এবং ১১ নভেম্বর। ভোটগণনা অনুষ্ঠিত হবে ১৪ নভেম্বর।
সূত্র: আনন্দবাজার ও দ্য ওয়াল