
শ্রীমদভগবদগীতা অবমাননা : নেত্রকোণায় মুসলিম যুবক গ্রেফতার! কঠিন শাস্তির দাবি সনাতনী সমাজের
নেত্রকোণা প্রতিনিধি :
নেত্রকোনার মদন উপজেলায় পবিত্র শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা বাথরুমে ফেলে তার উপর হারপিক ঢেলে ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করার অভিযোগে ফাহাদ (২০) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ফাহাদ তার ফেসবুক আইডি থেকে গীতাকে অবমাননাকরভাবে ব্যবহার করে একটি ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে। মুহূর্তের মধ্যেই সেটি ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় ওঠে। এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে মদন থানা পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয়রা জানান, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই এলাকাজুড়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অনেকেই বলেন, “অপূর্ব আহমেদ রাদের মতোই এই কুলাঙ্গারকেও সর্বোচ্চ শাস্তির মুখোমুখি করা হোক। ধর্ম অবমাননা করে কেউ পার পেতে পারে না।”
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন,
“ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ফাহাদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (আইসিটি অ্যাক্ট) অধীনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সংগঠন, সনাতনী তরুণসমাজ এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ফাহাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে। তারা অভিযোগ করেছে, অতীতে ধর্ম অবমাননার বহু ঘটনায় অভিযুক্তদের “মানসিক ভারসাম্যহীন” বলে দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু এবার যেন এমনটা না ঘটে।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেছেন,
“পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অবমাননা কেবল হিন্দু ধর্ম নয়, পুরো দেশের ধর্মীয় সহাবস্থানকে আঘাত করে। সরকারের উচিত দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা পাঠিয়ে কঠোর দৃষ্টান্ত স্থাপন করা।”
পাশাপাশি, স্থানীয় জনমনে এখন একটাই দাবি,গীতাকে অপমানকারী ফাহাদ যেন আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি পায়, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন ন্যক্কারজনক কাজ করার সাহস না পায়।