
লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়ে দুই সন্তানের জননী হিন্দু গৃহবধূ ঘর ছেড়ে ধর্মান্তরিত!
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশালের উজিরপুরে দুই সন্তানের জননী মনিকা রানী দাস একই এলাকার বিবাহিত মুসলিম ব্যক্তি মিজানুর রহমানের প্রেমের ফাঁদে পড়ে স্বামী ও সন্তানদের ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ধর্ম পরিবর্তনের পর তার নাম রাখা হয়েছে ইশরাত জাহান মনি।
ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ডে। জানা যায়, মনিকা রানীর স্বামী অমরেশ চন্দ্র দাসের সংসারে বহু বছর ধরে সুখে শান্তিতে বসবাস করছিলেন তিনি। কিন্তু কিছুদিন আগে থেকে একই এলাকার বিবাহিত মুসলিম ব্যক্তি মিজানুর রহমান কৌশলে মনিকা রানীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং তাকে প্রেমের প্রলোভনে ফেলে। একপর্যায়ে পরিকল্পিতভাবে মনিকাকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করতে বাধ্য করে মিজানুর।
লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়ে স্ত্রী ও সন্তান হারিয়ে এখন দিশেহারা অমরেশ চন্দ্র দাস থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। কিন্তু অভিযোগের পর থেকেই অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ও তার সহযোগীরা প্রতিনিয়ত তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অমরেশের দাবি, থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরও পুলিশ এখন পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, বরং হুমকি আরও বেড়ে গেছে।
৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল নগরীর সিএন্ডবি রোডের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী অমরেশ চন্দ্র দাস। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, “আমার স্ত্রী মনিকাকে পরিকল্পিতভাবে প্রলোভনে ফেলে নিয়ে গেছে তারা। আমি থানায় অভিযোগ করার পর থেকে প্রতিনিয়ত ভয় পাচ্ছি। আমার সন্তানদের জীবনও এখন ঝুঁকির মধ্যে। থানায় করা অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে আমাকে ও আমার সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে মিজানুর ও তার সহযোগিরা।”
অমরেশ আরও বলেন, “আমি প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানাই— আমার স্ত্রীর নিরাপত্তা ও আমার পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হোক। আমি চাই এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক এবং যারা আমার সংসার ভেঙে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
স্থানীয় হিন্দু সমাজের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এটি কোনো সাধারণ প্রেমের ঘটনা নয়, বরং এটি একটি পরিকল্পিত লাভ জিহাদের অংশ। তারা অভিযোগ করেছেন, মুসলিম যুবকরা কৌশলে হিন্দু মেয়েদের টার্গেট করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তরিত করছে, অথচ প্রশাসন এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে।
উজিরপুর মডেল থানার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অমরেশ চন্দ্রের অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেফতার বা আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে স্বীকার করেছেন তিনি।