
দিনাজপুরে বীরগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে খামারি অংকুর ঘোষের সর্বনাশ! পুড়ে গেল গরুর খাদ্যের ঘর
বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি |
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এক খামারি উদ্যোক্তার স্বপ্ন ভস্মীভূত হয়েছে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে অংকুর ঘোষ (৩৩) নামে এক হিন্দু খামারির গরুর খাদ্যের ঘর, যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ২ লাখ ২০ হাজার টাকা বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে হঠাৎ করে অংকুর ঘোষের গরুর খাদ্য সংরক্ষিত ঘরে আগুন জ্বলে ওঠে। ধোঁয়া ও আগুন দেখে আশপাশের লোকজন চিৎকার শুরু করলে দ্রুত এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। তারা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়, কিন্তু আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে একা পক্ষে তা সম্ভব হয়নি।
খবর পেয়ে বীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার মোসলেম উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এরই মধ্যে গরুর খাদ্য, মজুদকৃত খড়, খৈল, ভুসি ও ঘরের কাঠামো সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়।
ভুক্তভোগী অংকুর ঘোষ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমি একজন ছোট খামারি উদ্যোক্তা। এই গরুর খাদ্যের মজুদটাই ছিল আমার পরবর্তী উৎপাদনের মূল ভরসা। সবকিছু আগুনে পুড়ে গেছে। এখন আমি দিশেহারা হয়ে গেছি, বুঝতে পারছি না কীভাবে আবার নতুন করে শুরু করব।”
এলাকাবাসীরা জানান, অংকুর ঘোষ একজন পরিশ্রমী যুবক। নিজের সামান্য পুঁজি দিয়ে ছোট আকারের গরুর খামার গড়ে তুলেছিলেন তিনি। সম্প্রতি গরুর খাদ্য সংগ্রহ করে ঘরে রেখেছিলেন শীত মৌসুমের প্রস্তুতি হিসেবে। কিন্তু আকস্মিক এই অগ্নিকাণ্ডে তার সমস্ত পরিশ্রম মুহূর্তেই ছাই হয়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করতে তদন্ত চলছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত অংকুর ঘোষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, একজন ছোট উদ্যোক্তার এমন ক্ষতি পূরণ করা কঠিন। তাই সরকারি ও বেসরকারি সহায়তা অত্যন্ত প্রয়োজন।