
গাইবান্ধায় জাতীয় পতাকার দণ্ডে জুতা উত্তোলন! অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জাতীয় পতাকার দণ্ডে জুতা উত্তোলনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অভিযুক্ত তরুণ মিরাজ মিয়াকে আটক করে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে সুন্দরগঞ্জ থানা আমলি আদালতে হাজির করার পর বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে, শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে পুলিশ মিরাজকে আটক করে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তারা মিরাজকে আটক করে আমাদের হাতে তুলে দেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কোনো স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি। তাকে ৫৪ ধারায় অভিযুক্ত করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিরাজ মিয়া গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের বাসিন্দা ফুল মিয়ার ছেলে। এসএসসি পাস করার পর তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের পাশে একটি ছোট মুদি দোকান চালান এবং পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
সম্প্রতি ৩২ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যায় জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় জাতীয় পতাকার দণ্ডে জুতা ঝুলিয়ে দিচ্ছেন ওই তরুণ। ভিডিওতে তার পাশে আরও তিন থেকে চারজন তরুণ উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা বলেন, “জাতীয় পতাকা আমাদের স্বাধীনতা ও মর্যাদার প্রতীক। একজন তরুণের কাছ থেকে এ ধরনের কাজ অমার্জনীয় ও লজ্জাজনক।”
এদিকে, পুলিশ বলছে, মিরাজ দাবি করেছেন ভিডিওটি পাঁচ-ছয় মাস আগে ধারণ করা হয়েছিল, তবে বিষয়টি যাচাই করতে তদন্ত চলছে।
ওসি আব্দুল হাকিম আজাদ আরও বলেন, “এ ঘটনায় সামাজিকভাবে চরম নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। কেউ জাতীয় প্রতীকের অবমাননা করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
জাতীয় পতাকার প্রতি অবমাননাকর আচরণের অভিযোগে দেশের সর্বস্তরে নিন্দা জানানো হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্ত শেষে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।