

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকসু নির্বাচনে সমাজসেবা, পরিবেশ ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে বিজয়ী হলেন শ্রীমতি পূর্ণিমা রাধে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে সমাজসেবা, পরিবেশ ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছেন শ্রীমতি পূর্ণিমা রাধে। তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হল সংসদের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁর এই বিজয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মানবতা, সহাবস্থান ও ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার এক উজ্জ্বল প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বাশঁখালীর কৃতি সন্তান পূর্ণিমা রাধে তাঁর সততা, বিনয়, মানবিকতা ও আন্তরিক ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীর হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শিক্ষার্থীদের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানো, পরিবেশবান্ধব উদ্যোগে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং মানবাধিকার ইস্যুতে সরব ভূমিকার কারণে তিনি সবার আস্থা অর্জন করেন।
সহপাঠী ও শুভানুধ্যায়ীরা নির্বাচনী ফল ঘোষণার পর তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দেন। অনেকে আবেগভরে বলেন, একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের কন্যা হয়েও পূর্ণিমা রাধে সকল ধর্মের শিক্ষার্থীর কাছে সমানভাবে প্রিয় হয়ে উঠেছেন। তাঁর আচরণ, সততা, শ্রদ্ধাশীল মনোভাব এবং ইতিবাচক চিন্তাধারাই তাঁকে বিজয়ের আসনে পৌঁছে দিয়েছে।
বিজয়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় পূর্ণিমা রাধে বলেন, “এই বিজয় শুধু আমার নয়, এটি মানবতার, একতার এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের জয়। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি— সমাজসেবা, পরিবেশ রক্ষা ও মানবাধিকার রক্ষায় আমি সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করব। এই দায়িত্ব আমার কাছে একটি অঙ্গীকার, যা আমি সর্বশক্তি দিয়ে পালন করব।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু নির্বাচনে পূর্ণিমা রাধের এই জয় বাশঁখালীর মানুষসহ সমগ্র সনাতন সমাজের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত হয়ে উঠেছে। তাঁর এই সাফল্য শুধু একজন প্রার্থীর বিজয় নয়, বরং এটি শিক্ষাঙ্গনে সহনশীলতা, মানবিকতা ও সৌহার্দ্যের বিজয়।