
নরকচতুর্দশী বা ভূত চতুর্দশী কি? শাস্ত্রে কি এই চতুর্দশী পালনের বর্ননা আছে?
ধর্মতত্ব ডেক্স:
শাস্ত্রমতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ , সত্যভামা দেবীকে নিয়ে প্রাগজ্যোতীষপুর অর্থাৎ আজকের কামরূপ আক্রমণ করে অত্যাচারী নরকাসুরকে বধ করেন। শাস্ত্র মতে নরকাসুর বরাহদেব ও বসুমতীর সন্তান। এই দিনটি "নরকচতুর্দশী" নামে পালিত হয়।
ভূত চতুর্দশী তিথিটি যেহেতু ১৯ অক্টোবর দুপুর থেকে শুরু হয়ে ২০ অক্টোবর দুপুর পর্যন্ত থাকছে, তাই তিথির দিন ও পরের দিন রীতিনীতি পালনের কিছু বিশেষ সময় রয়েছে। ভূত চতুর্দশী পালন: ২০ অক্টোবর, সোমবার, সূর্যোদয় থেকে চতুর্দশী তিথি শেষ হওয়া পর্যন্ত এই দিনটি পালিত হবে।
আচারবশত ১৪ শাক খেয়ে ১৪ প্রদীপ দিয়ে "ভূতচতুর্দশী" নামে পালিত হয়। ওল, পুঁই, বেতো, সর্ষে, কালকাসুন্দে, নিম, জয়ন্তী, শাঞ্চে, হিলঞ্চ, পলতা, শৌলফ, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা ও শুষণী। শাকের আয়ুর্বেদিক অনেক গুণাগুণ আছে। গরমের বিদায় ও শীতের আগমনের পূর্বে অনেক প্রকার রোগ ও চর্মরোগের আগমন ঘটে। এই শাক আমাদের শরীর মজবুত রাখে। প্রতিটি শাকের কিছু ঔষধি গুণাগুণ আছে। যমপথ অন্ধকার, কিন্তু মুক্তির পথ আলোকে আলোকময়। এই দিন ভগবান শ্রীবিষ্ণুর মন্দিরে প্রদীপ জ্বেলে দিলে নরকের অন্ধকারময় পথ থেকে নিস্কৃতি পাওয়া যায়। এখানে মনে পাপরূপ অন্ধকার পরিবেশে ভগব্দভক্তির প্রদীপ প্রজ্বলন করার কথাই বলা হয়।