
অযোধ্যায় দীপোৎসবে বিশ্ব রেকর্ড
নিজস্ব সংবাদদাতা, অযোধ্যা |
অযোধ্যা আবারও ইতিহাস রচনা করল। শারদ পূর্ণিমার আগের সন্ধ্যায়, শনিবার, রাম জন্মভূমি মন্দির নগরী জুড়ে অনুষ্ঠিত হয় মহা দীপোৎসব ২০২৫, যেখানে একসঙ্গে জ্বালানো হয় ২৬ লাখ ১৭ হাজার ২১৫টি প্রদীপ। এই অসাধারণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে অযোধ্যা গড়েছে এক নতুন বিশ্ব রেকর্ড, যা গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
রাম জন্মভূমি মন্দির প্রাঙ্গণ, সরযূ নদীর ঘাট, রাম কি পৈড়ি, হনুমানগড়ী, কনক ভবন ও আশপাশের প্রতিটি অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়ে আলোর সাগর। হাজারো স্বেচ্ছাসেবক ও রামভক্তের অংশগ্রহণে মুহূর্তেই আলোকিত হয়ে ওঠে সমগ্র নগরী। ভক্তদের মুখে একসঙ্গে ধ্বনিত হয়—
“জয় শ্রী রাম! জয় সীয়া বর রাম চন্দ্র কি জয়!”
উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল সরযূ নদীর তীরে আয়োজিত গণ আরতি, যেখানে ২১০০ জনেরও বেশি ভক্ত একসঙ্গে আরতিতে অংশ নিয়ে আরেকটি রেকর্ড স্থাপন করেন। আরতির সময় বাজতে থাকে শঙ্খ, ঘন্টা ও ভজনের সুর— সৃষ্টি হয় এক অনন্য ভক্তিমূলক পরিবেশ।
উৎসবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীবৃন্দ এবং হাজার হাজার দেশি-বিদেশি অতিথি। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন,
“রামভক্তদের ভালোবাসা ও একতার শক্তিতেই আজ অযোধ্যা বিশ্বের কাছে ভক্তির রাজধানী হয়ে উঠেছে।”
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে প্রদীপ গণনা করেন ও আনুষ্ঠানিকভাবে রেকর্ড অনুমোদন করেন। তাঁদের ঘোষণা শেষ হতেই আকাশে ফেটে পড়ে রঙিন আতশবাজি, নদীতীরে ভেসে ওঠে দীপ্ত প্রদীপের সারি— যেন ভগবান রামের আগমনে পুরো অযোধ্যা আলোকিত হয়ে উঠেছে।
রাম মন্দির উদ্বোধনের পর এটিই ছিল প্রথম দীপোৎসব, ফলে উৎসবের আবেগ ছিল বহুগুণ বেশি। শহরের প্রতিটি কোণায় চলেছে ভজন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোসজ্জা। ভক্তদের চোখে মুখে ছিল পরম আনন্দ আর গর্বের ছাপ।
দর্শনার্থীদের ভাষায়—
“এ শুধু আলোর উৎসব নয়, রামভক্তির জয়গান। আজ অযোধ্যা সত্যিই দ্যুতিময়।”