

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে ঘৃণাত্মক পোস্ট,সনাতনী শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদ, ছাত্র সাদমান তাহমিদ আলীর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাদমান তাহমিদ আলী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে ঘৃণাত্মক ও সাম্প্রদায়িক মন্তব্য প্রকাশের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাধারণ ও সনাতনী শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবরে।
অভিযোগে সনাতনী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, সাদমান তাহমিদ আলীর এমন মন্তব্য কেবল উগ্র ও বিদ্বেষমূলকই নয়, এটি শিক্ষাঙ্গনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সামাজিক বন্ধন নষ্ট করার এক নোংরা প্রয়াস। শিক্ষার্থীরা এমন আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
অভিযোগ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত বিষয়টি আমলে নেয়। ২৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস থেকে একটি অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, উক্ত ঘটনাটি তদন্তের জন্য চার সদস্যবিশিষ্ট একটি সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সহকারী প্রক্টর ড. কে. এম. নূরুল আমিন সিদ্দিকীকে, আর সদস্য হিসেবে রয়েছেন সহকারী প্রক্টর ড. এমদাদুল হক সোহাগ, সহকারী প্রক্টর ড. শামীম বড়ুয়া এবং জগন্নাথ হলের প্রভাষক দেবাশীষ পাল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। তদন্তে সত্যতা প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রক্টর অফিস থেকে জানানো হয় , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি অসাম্প্রদায়িক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।এখানে ঘৃণাত্মক, উসকানিমূলক ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর কোনো জায়গা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা বলছে, সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও ঘৃণাত্মক বক্তব্যের বিরুদ্ধে এমন কঠোর অবস্থান শিক্ষাঙ্গনে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় প্রশাসনের এই দ্রুত পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।