
গংগাচড়ায় অন্নকুট মহোৎসবে প্রধান অতিথি জননেতা অধ্যাপক রায়হান সিরাজী বাংলাদেশ জামায়াতে মনোনিত রংপুর ১ আসনে সংসদ পদপ্রার্থী
রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুরের গংগাচড়া উপজেলাধীন ৩নং বড়বিল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বাগপুর চোত্তাপাড়া শ্রী শ্রী ভক্তি শ্রীরুপ ভাগবত গৌড়ীয় মঠ আয়োজিত শ্রী শ্রী গো- গোবর্ধন ও অন্নকূট মহোৎসব আবির্ভাব উপলক্ষে মহত্ত্ব অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রী ব্রজেন্দ্র নাথ সরকার,অন্নকুট মহোৎসবে প্রধান অতিথি জননেতা অধ্যাপক রায়হান সিরাজী বাংলাদেশ জামায়াতে মনোনিত রংপুর ১ আসনে সংসদ পদপ্রার্থী,, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তরুনদের আইডল জনাব হানিফুর রহমান সজীব উচ্চতর পরিষদ সদস্য, গণঅধিকার পরিষদ। সম্মানীত অতিথি ছিলেন শ্রী কমলাকান্ত রায় সভাপতি গংগাচড়া পূজা উদযাপন কমিটি ও সাধারণ সম্পাদক গংগাচড়া উপজেলা প্রেসক্লাব। অন্নকুট অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাওঃ মোঃ নায়েবুজ্জামান, মোঃ সায়েদুন্নবী কাইয়ুম, মোঃ লিটন মিয়া, শ্রী চন্দন চন্দ্র রায়, মোঃ মারুফ হোসেন সহ অনেকে। শ্রী গো-গোবর্ধন পূজা ও অন্নকুট অনুষ্ঠানে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন করেন শ্রী ননী গোপাল মহন্ত,, উক্ত মহোৎসব অনুষ্ঠানে প্রতিটি পর্বে রয়েছে মঙ্গল আরতি,শৃঙ্গার আরভ,মধ্যাহ্ন ভোগরতি,মহাপ্রসাদ আস্বাদন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দামোদর আরতি,নামসংকীর্ওন ও অন্নপ্রসাদ আস্বাদন। অন্নকূট হিন্দুধর্মে অনেকক্ষেত্রেই মিলেমিশে যায় শাক্ত ও বৈষ্ণব উৎসব শক্তি আরাধনার অন্যতম উৎসব হল কালীপুজো তার ঠিক পরেই বৈষ্ণবদের গুরুত্বপূর্ণ গোবর্ধন উৎসব এবং অন্নকূট বহু স্থানেই দুটি পার্বণ একসঙ্গে পালিত হয় কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের প্রথম দিনে পালিত হয় গোবর্ধন উৎসব ভাগবৎ পুরাণ অনুযায়ী এদিন শ্রীকৃষ্ণ নিজের কনিষ্ঠ আঙুলে তুলে ধরেছিলেন গোবর্ধন পর্বতকে প্রবল বৃষ্টি থেকে বৃন্দাবন শহরকে রক্ষা করতে, অর্থাৎ এভাবেই বিশ্ব ধরিত্রীকে রক্ষা করেন বিধাতা তাই তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ উৎসর্গ করা হয় অন্নকূট অন্ন মানে ভাত কূট মানে পাহাড় ভাতের পাহাড় সঙ্গে অন্যান্য নিরামিষ পদ বৈষ্ণবদের মধ্যে বল্লভ সম্প্রদায়‚ চৈতন্যের গৌড়ীয় সম্প্রদায় এবং স্বামীনারায়ণ সম্প্রদায় পালন করে থাকে গোবর্ধন ও অন্নকূট উৎসব ভাগবৎ পুরাণ বলে‚ ইন্দ্র-কৃষ্ণ দ্বৈরথেই জন্ম গোবর্ধন উৎসবের ব্রজভূমিতে প্রচলিত ছিল হেমন্ত উৎসব ব্রজবাসীরা গোবর্ধন পর্বতে গিয়ে ইন্দ্রকে পুজো করত দূরবর্তী স্বর্গের দেবতাকে পুজো না করে বৃন্দাবনবাসী যেন কাছের দেবতাকে পুজো করেন চেয়েছিলেন কৃষ্ণ প্রবর্তন করলেন গিরিযজ্ঞ নিজেই পর্বত অবতারে শ্রদ্ধার্ঘ্য গ্রহণ করতেন সহ্য করতে না পেরে দেবরাজ ইন্দ্র প্রবল বর্ষণ ঘটালেন বৃন্দাবনের উপরে একনাগাড়ে সাতদিন ধরে শ্রীকৃষ্ণ কনিষ্ঠ আঙুলে গোবর্ধন পর্বতকে তুলে তার নিচে আশ্রয় দিলেন সমগ্র নগরবাসীকে রণে ভঙ্গ দিলেন ইন্দ্র বৃন্দাবনে গোবর দিয়ে বানানো হয় ঢিপি গোবর্ধন পাহাড়ের প্রতীক তার উদ্দেশে উৎসর্গ করা হয় ছাপ্পান্ন রকম নিরামিষ ভোগপ্রসাদ ভাতের পাহাড় বানিয়ে তার ভিতরে সাজিয়ে দেওয়া হয় ভোগপ্রসাদ, প্রদীপ জ্বালিয়ে বানানো হয় রঙ্গোলিও বিভিন্ন মন্দিরে অধিষ্ঠিত দেব বিগ্রহের সামনেও উৎসর্গ করা হয় অন্নকূট ভোরবেলা শুরু করে দ্বিপ্রহরের মধ্যে সমাপন হয় ভোগ প্রস্তুত শুভ আরভ শ্রী শ্রী অন্নকূট মহোৎসব ও গো – গোবর্ধন পূজা মানবের মঙ্গল কামনা বিভিন্ন দূর দূরান্ত আগত ভক্ত বৃন্দ নর, নারী সমাগম হয়।