
মাধবপুরে হিন্দু পরিবারের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, নারীসহ আহত ১০ জন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার আন্দিউরা ইউনিয়নের হরিশ্যামা গ্রামে এক হিন্দু পরিবারের বাড়িতে সংঘটিত হয়েছে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) গভীর রাতে দাসপাড়ার প্রফুল্ল দাসের বাড়িতে অজ্ঞাতপরিচয় একদল সশস্ত্র ডাকাত হামলা চালায়। তারা বাড়ির সদস্যদের ওপর বেপরোয়া মারধর করে নারীসহ অন্তত ৮ থেকে ১০ জনকে গুরুতর আহত করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত আনুমানিক ২টার দিকে মুখোশধারী ৮–১০ জন ডাকাত বাড়ির পেছনের দিক দিয়ে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে প্রফুল্ল দাসের ঘরের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে এবং পরিবারের সদস্যদের বেঁধে ফেলে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। ডাকাতরা বাড়ির মহিলাদের মারধর করে মূল্যবান অলংকার ছিনিয়ে নেয় এবং ঘরে থাকা ট্রাঙ্ক ভেঙে প্রায় ৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ১০ লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ সময় বাধা দিতে গেলে বাড়ির সদস্যদের ওপর তারা ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে হামলা চালায়। এতে ডা. পঙ্কজ দাস, সমীরণ দাস, বিবু দাস ও দুলাল দাস গুরুতর আহত হন। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকদের বরাতে জানা গেছে, তাদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ডাকাতদলের তাণ্ডবে গ্রামজুড়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানায়, রাতভর ডাকাতরা অন্তত আধাঘণ্টা ধরে বাড়ির ভেতরে তাণ্ডব চালায় এবং পাশের বাড়িগুলোর লোকজন ডাকচিৎকার করলেও ভয়ভীতির কারণে কেউ এগিয়ে যেতে পারেনি।
ঘটনার খবর পেয়ে মাধবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, এটি একটি পরিকল্পিত ডাকাতি, এবং অভিযুক্তদের শনাক্তে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের কাজ চলছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন নেতা বলেন,
“বারবার সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়িতে এমন হামলা হচ্ছে, অথচ অপরাধীরা ধরা পড়ছে না। প্রশাসনের আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।”