
ইসকন ঘনিষ্ঠ বলে মিথ্যা সংবাদ প্রচার:‘আমার দেশ’ সংবাদমাধ্যমের বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন ঘিরে ড. কুষল বরণের স্পষ্ট জবাব – “আমি শাক্ত, ইসকন নই”
HindusNews ডেস্ক :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. কুষল বরণ চক্রবর্তী-কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে “ইসকন ঘনিষ্ঠ” আখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে অনলাইন পোর্টাল ‘আমার দেশ’। “ইসকনের কুষল বরণের জন্য পদোন্নতি বোর্ড বসছে কাল” শিরোনামে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে ড. কুষল বরণের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধোঁয়াশা তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইসকন ঘনিষ্ঠ কুষল বরণ চক্রবর্তীকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহ ও হত্যা প্রচেষ্টা মামলার অভিযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, তিনি নাকি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা “র”–এর ঘনিষ্ঠ ও রাষ্ট্রদোহ মামলায় গ্রেপ্তার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারী।
তবে এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট বলে কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন ড. কুষল বরণ চক্রবর্তী।
নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন—
“ভাই, আমি আবার কবে ইসকন হইলাম! কিছু প্রোপাগাণ্ডা নিউজ দেখলে হাসি পায়। আমার বাবা মাদারীপুর কালীবাড়ির ৪৫ বছর সম্পাদক ছিলেন। আমি পঞ্চমতে বিশ্বাসী এবং পারিবারিকভাবে শাক্ত সম্প্রদায়ের। আমার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যুক্ত প্রত্যেকটি মানুষই বিষয়টি জানে, সেই আমি কি করে ইসকন হলাম?”
তিনি আরও বলেন—
“সাংবাদিক ভাইদের কাছে অনুরোধ, ‘চিলে কান নিয়ে গেছে’ টাইপ গুজব ছড়াবেন না। একটু খেটেখুটে সত্য তথ্য যাচাই করে তারপর সংবাদ করবেন।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীও জানিয়েছেন, ড. কুষল বরণ চক্রবর্তী একজন গবেষক ও প্রগতিশীল শিক্ষক, যিনি ধর্মীয় বিভাজন নয়, বরং মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। তার বিরুদ্ধে ছড়ানো এমন অপপ্রচার একটি সংগঠিত চক্রের ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।
উল্লেখ্য, ‘আমার দেশ’ পত্রিকাটি অতীতেও ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়ানো, নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষকে অপমান ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে বিতর্কিত হয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন,
“এ ধরনের মিথ্যা প্রচার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে অস্থির করতে পারে। ড. কুষল বরণের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে কোনো প্রমাণিত অভিযোগ নেই।”