
নির্বাচন কমিশনারের সাথে হিন্দু মহাজোটের সাক্ষাৎ, নির্বাচনের আগে ও পরে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৭ দফা প্রস্তাব!
ঢাকা প্রতিনিধি :
সারা দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর ক্রমবর্ধমান নির্যাতন, সহিংসতা ও ভয়ভীতির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্রধান নির্বাচন ভবনে মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে সাক্ষাৎ করেন হিন্দু মহাজোটের একটি প্রতিনিধিদল।
প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে হিন্দু মহাজোটের নেতৃবৃন্দ সারা দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, মন্দির ভাঙচুর, জমি দখল ও নারী নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরেন। তারা অভিযোগ করেন, নির্বাচনের সময় এ ধরনের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যায়, যা সংখ্যালঘুদের ভোটাধিকার ও নাগরিক নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
বৈঠকে হিন্দু মহাজোটের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের নিকট ৭ দফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
নির্বাচন কমিশনারের সাথে হিন্দু মহাজোটের সাক্ষাৎ, নির্বাচনের আগে ও পরে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৭ দফা প্রস্তাব! সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাকে “বিশেষ নিরাপত্তা অঞ্চল” ঘোষণা করে নির্বাচনের আগে, চলাকালীন ও পরে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির টহল জোরদার করা।
হিন্দু মহাজোটের নেতারা বলেন, “নির্বাচন কোনো ভয়ের উৎস নয়, বরং গণতন্ত্রের উৎসব হওয়া উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রতিটি নির্বাচনে হিন্দু সম্প্রদায় আতঙ্কে দিন কাটায়। এ অবস্থা থেকে জাতিকে মুক্ত করতে নির্বাচন কমিশনের কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন।”
প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রতিনিধিদলের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং আশ্বাস দেন যে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে। তিনি বলেন, “কোনো নাগরিক যেন ভয়ভীতির মধ্যে থেকে ভোট দিতে না হয়—এটা আমাদের অঙ্গীকার।”
বৈঠক শেষে হিন্দু মহাজোটের প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য জানান, আমরা আশা করছি, নির্বাচন কমিশন এই ৭ দফা প্রস্তাব বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এবং প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।