
নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি বিজয় ভাষণে হাতে লাল সুতা বেঁধে উপস্থিত — ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ
নিউইয়র্ক;
নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি তার বিজয় ভাষণে হাতে লাল সুতা বেঁধে মঞ্চে উপস্থিত হয়ে আলোচনায় এসেছেন। বিজয়ের উচ্ছ্বাসের মুহূর্তে তিনি যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন স্পষ্টভাবে দেখা যায় তার হাতে বাঁধা লাল সুতা — যা তিনি গর্বের সঙ্গে উঁচিয়ে ধরেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। কেউ কেউ অবাক হয়েছেন, আবার অনেকেই বলেছেন — এটি আসলে তার পারিবারিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রতীকী প্রকাশ।
লাল সুতা: সনাতন ঐতিহ্যের মাঙ্গলিক প্রতীক
সনাতন ধর্মে লাল সুতা (মৌলিকভাবে ‘মৌলি’ বা ‘রক্ষা সূত্র’) একটি মাঙ্গলিক প্রতীক, যা দেবতার পূজা, আশীর্বাদ বা কোনো শুভ উপলক্ষে হাতে বাঁধা হয়। এটি সুরক্ষা, আশীর্বাদ ও শুভ শক্তির প্রতীক হিসেবে পরিচিত।
মন্দিরে পূজা শেষে পুরোহিত সাধারণত ভক্তদের হাতে এই লাল সুতা বেঁধে দেন। এটি কোনো নির্দিষ্ট সংগঠনের পরিচয় নয় — বরং এটি ভারতীয় উপমহাদেশে বহু সহস্রাব্দ ধরে পালন করা একটি আধ্যাত্মিক প্রথা।
মামদানি ও তাঁর পারিবারিক ঐতিহ্য
নির্বাচনী প্রচারণার সময় জোহরান মামদানি নিউইয়র্কের একটি হিন্দু মন্দিরে গিয়েছিলেন আশীর্বাদ নিতে। সেখানেই তিনি বলেছিলেন,
“I am proud of my Hindu heritage.”
(আমি আমার হিন্দু ঐতিহ্য নিয়ে গর্বিত।)
জোহরান মামদানির মা, মীরা নায়ার, একজন খ্যাতনামা চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং practicing Hindu। মীরা নায়ার তাঁর সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই ভারতীয় সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের সঙ্গে পরিচিত করে তুলেছেন।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাতে লাল সুতা বা তিলক দেখলেই অনেকে অযথা “ইস্কন ট্যাগ” বা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। কিন্তু মামদানির এই আচরণ অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছে — লাল সুতা কোনো সংগঠনের নয়, এটি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতীক।
নেটিজেনদের অনেকে লিখেছেন, “একজন প্রগতিশীল রাজনীতিক হয়েও মামদানি যেভাবে তাঁর শিকড় ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেছেন, তা প্রশংসনীয়।”
নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি হাতে লাল সুতা বেঁধে বিজয় ভাষণ দিয়েছেন।
তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন — “Proud of my Hindu heritage”।
লাল সুতা সনাতন ধর্মের শুভ প্রতীক, যা দেবতার আশীর্বাদ হিসেবে হাতে বাঁধা হয়।
তার এই পদক্ষেপ প্রমাণ করে — ধর্মীয় ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সহাবস্থান সম্ভব।