
শেষকৃত্য শেষে বাড়ি ফিরে দেখলেন উঠোনে বসে ‘মৃত’ ছেলে! ছত্তীসগড়ে অবিশ্বাস্য ঘটনা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
অদ্ভুত এক ঘটনার সাক্ষী হলেন ভারতের ছত্তীসগড়ের সুরজপুর জেলার চন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দারা। যাকে মৃত ভেবে পরিবারের সদস্যরা শেষকৃত্য সেরে ফিরলেন, তাকেই দেখা গেল উঠোনে দিব্যি বসে হাসছেন! চোখের সামনে এমন দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান সবাই— এমনকি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে স্থানীয় পুলিশও।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মৃত ভেবে যার দেহ সৎকার করা হয়েছিল, তাঁর নাম পুরুষোত্তম। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সুরজপুর জেলার মানপুর এলাকায় একটি কুয়োয় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহের পরিচয় জানার চেষ্টা চালায় পুলিশ। ঠিক সেই সময় থেকেই নিখোঁজ ছিলেন চন্দ্রপুরের পুরুষোত্তম।
পরিবার খবর পেয়ে দৌড়ে যায় থানায় এবং উদ্ধার হওয়া দেহটি পুরুষোত্তমের বলে শনাক্ত করেন তাঁরা। এরপর পুলিশ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দেহ পরিবারের হাতে হস্তান্তর করে। স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় যথাযথভাবে।
কিন্তু সেই শেষকৃত্যের কিছুক্ষণ পরই ঘটল অবিশ্বাস্য ঘটনা! পরিবারের এক আত্মীয় হঠাৎ খবর দেন— পুরুষোত্তম নাকি বাড়িতেই জীবিত অবস্থায় রয়েছেন! প্রথমে বিশ্বাস হয়নি কারও। কিন্তু বাড়ি ফিরে দেখা যায়— সত্যিই উঠোনে বসে আছেন পুরুষোত্তম, দিব্যি হাসছেন, পা দোলাচ্ছেন!
হঠাৎ আনন্দে-চমকে সবাই ছুটে যান তাঁর দিকে। কিছুক্ষণ আগেও যার জন্য শোকের মাতম চলছিল, সেই ঘরে মুহূর্তেই আনন্দ আর বিস্ময়ের স্রোত বইতে শুরু করে। পরিবারের লোকজন স্বজনদের খবর দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
অন্যদিকে, পুলিশ প্রশাসনও পড়েছে বিপাকে। সুরজপুর জেলার পুলিশ সুপার সন্তোষ মাহাতো জানান, “এই ঘটনাটি পরিবারের জন্য আনন্দের হলেও আমাদের কাছে এটি রহস্যজনক। তাহলে কুয়োয় পাওয়া মৃতদেহটি আসলে কার?”
তিনি আরও বলেন, মৃত ব্যক্তির পোশাক ও অন্যান্য জিনিসপত্র সংরক্ষিত রয়েছে। প্রয়োজন হলে মৃতদেহটি সমাধি থেকে তুলে ডিএনএ পরীক্ষা করা হতে পারে, যাতে প্রকৃত পরিচয় জানা যায়।
ঘটনাটি এখন সুরজপুরে ব্যাপক আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় মানুষ বলছেন, এমন রহস্যময় ঘটনার কথা কেবল গল্প বা সিনেমায় দেখা যায়, বাস্তবে নয়। কিন্তু এবার সেটাই সত্যি ঘটেছে তাঁদের চোখের সামনে।