
রাজবাড়ীতে ডাকাতি ও চাঁদাবাজি মামলার বাদী হওয়ায়অ বসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সমর কুমার দাসকে রড-হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত
HindusNews ডেস্ক, রাজবাড়ী প্রতিনিধি :
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় ডাকাতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়েরের কারণে ও বাদী হওয়ায় অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক সমর কুমার দাস (৭৫) কে হাতুড়ি ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পাট্টা বাজারে এই ঘটনাটি ঘটে। আহত সমর কুমার দাস বর্তমানে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সমর কুমার দাস পাট্টা ইউনিয়নের জোনা গ্রামের মৃত ননী গোপাল দাসের ছেলে। পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ১ নভেম্বর রাতে আনুমানিক ১১টা ২০ মিনিটে মুখোশধারী চারজন সশস্ত্র ডাকাত সমর কুমার দাসের বাড়িতে প্রবেশ করে পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা সমর দাসের স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে মারধর করে আহত করে এবং জোরপূর্বক নগদ ১ লাখ টাকা ও একটি অপপো ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় ৩ নভেম্বর পাংশা মডেল থানায় একটি ডাকাতি ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন সমর কুমার দাস। মামলার প্রেক্ষিতে পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে এসআই ওবায়দুর রহমান ও তার সহকারী ফোর্স মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে পাট্টা ইউনিয়নের জাগির কয়া গ্রামের মো. আবুল কাশেমের ছেলে ফরহাদ হোসেন সোহাগ (৩০) এবং একই ইউনিয়নের জোনা গ্রামের অমরেন্দ্রনাথ বালার ছেলে অসিম বালা ওরফে অসিত (২০) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর বুধবার দুপুরে সমর কুমার দাস বাজারে গেলে অভিযুক্তদের সহযোগীরা প্রকাশ্যে তার ওপর হামলা চালায়। রড ও হাতুড়ি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলামের নির্দেশনায় দ্রুত অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বুধবার তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে মারধরের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়।
এই ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়দের দাবি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ আইনের আশ্রয় নিতে গিয়ে এমন নৃশংসতার শিকার না হয়।