

যশোর-৪ আসনে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সুকৃতি কুমার মণ্ডলের নির্বাচনী ভাবনা ও উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি
HindusNews ডেস্ক :
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৪ (অভয়নগর, বাঘারপাড়া ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) আসনে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডল। তিনি ইতোমধ্যেই তাঁর নির্বাচনী এলাকার সার্বিক উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় বিস্তৃত পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। তাঁর ভাষায়—
“এই এলাকার প্রতিটি মানুষ আমার পরিবারের সদস্য। তাঁদের সুখ-দুঃখ, সমস্যা ও স্বপ্ন আমার নিজের মতোই। আমি বিশ্বাস করি, অভয়নগর-বাঘারপাড়া অঞ্চলের উন্নয়ন কেবল সম্ভব হবে মানুষের ভালোবাসা, ঐক্য ও আন্তরিক সহযোগিতার মাধ্যমে।”
সুকৃতি কুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, যশোর-৪ আসনের দীর্ঘদিনের অন্যতম সমস্যা ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা। বহু কৃষক বছরের পর বছর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, ফসলহানি ঘটছে, জমি অনাবাদি হয়ে পড়ছে। তিনি নির্বাচিত হলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবেন। একই সঙ্গে এলাকার রাস্তাঘাট, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ, নতুন সংযোগ সড়ক তৈরি এবং বিদ্যমান অবকাঠামোর সংস্কারের ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। তাঁর পরিকল্পনায় রয়েছে নওয়াপাড়া থেকে ধলভূম, নারায়ণপুর, বাঘারপাড়া পর্যন্ত আধুনিক সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যা ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিক্ষা-চিকিৎসা—সবক্ষেত্রেই জনসাধারণকে নতুন সুযোগ এনে দেবে।
জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর প্রতিশ্রুতিতে আছে প্রতিটি ইউনিয়নে কমিউনিটি হাসপাতাল স্থাপন, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যসচেতনতা বাড়াতে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেওয়া। পাশাপাশি তিনি শিক্ষাখাতে বিপ্লব ঘটাতে চান। স্থানীয় স্কুলগুলোতে অবকাঠামো উন্নয়ন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ প্রদান, দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের বিনামূল্যে বই ও পোশাক সরবরাহ এবং নারী শিক্ষাকে উৎসাহিত করা তাঁর পরিকল্পনার অংশ।
সংখ্যালঘু ও ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রশ্নে সুকৃতি কুমার মণ্ডল বলেছেন, “বাংলাদেশ সব ধর্মের মানুষের দেশ। এখানে কেউ অবহেলিত হবে না, ভীত হবে না। আমি চাই সবাই মিলেমিশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করুক—এটাই আমার রাজনৈতিক দর্শনের মূল চেতনা।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, স্থানীয় বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্র শিল্প, হস্তশিল্প ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে। নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প চালু করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর। তিনি বিশ্বাস করেন, “একজন নারী স্বাবলম্বী হলে একটি পরিবার এগিয়ে যায়, আর একটি পরিবার এগোলে গোটা সমাজ এগিয়ে যায়।”
রাজনীতিতে সুকৃতি কুমার মণ্ডলের পথচলা শুরু সমাজসেবা ও মানবকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে। তাঁর পিতা সুবল কুমার মণ্ডল একজন শিক্ষক ও সমাজসেবক ছিলেন, যিনি স্থানীয়ভাবে সুনাম অর্জন করেছিলেন শিক্ষায় অবদানের জন্য। এই প্রেরণা থেকেই পিতার পথ অনুসরণ করে সুকৃতি কুমার মণ্ডল রাজনীতিতে মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করেছেন।
শিক্ষাগত যোগ্যতায় তিনি একজন মেধাবী ও সমাজবিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রিধারী। নওয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, নওয়াপাড়া কলেজ থেকে এইচএসসি, এরপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পাশাপাশি ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
নির্বাচনে তাঁর প্রতীক ‘রকেট’, যার অর্থ—উন্নয়নের গতি ও পরিবর্তনের প্রতীক। তাঁর আহ্বান
“নিজের ভোট নিজেই দিন, আপনাদের প্রিয় বন্ধু, সং, সহযোগী, শিক্ষিত, যোগ্য, আদর্শ ও সৎ মানুষ হিসেবে আমাকে পাশে রাখুন। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—আমি শুধু উন্নয়ন নয়, মানবতার রাজনীতি করতে চাই।”
সুকৃতি কুমার মণ্ডল বিশ্বাস করেন, এই এলাকার মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অভয়নগর-বাঘারপাড়া এক নতুন সম্ভাবনার দিগন্তে পৌঁছাবে। তাঁর এই ভাবনা ও প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন নির্ভর করছে জনগণের আন্তরিক সহযোগিতা ও আশীর্বাদের ওপর।
শেষে তিনি বলেন—
“৮৮-যশোর-৪ আসনের প্রতিটি ঘর আমার ঘর, প্রতিটি মানুষ আমার আপনজন। আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থন পেলে আমি এই অঞ্চলকে একটি শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের মডেল অঞ্চলে পরিণত করতে পারব।”