
ভারত–বাংলাদেশ যৌথ সিনেমা “মামনের চিঠি”-এর মুক্তি ঘিরে উচ্ছ্বাস, অভিনয়ে সিলেটি অভিনেতা জয়ন্ত কুমার দাস
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভারত ও বাংলাদেশে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে মুক্তির পথে বর্যক আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত সিনেমা “মামনের চিঠি”। সিনেমাটিতে সিলেটি, প্রমিত বাংলা, হিন্দি সহ একাধিক ভাষার সংমিশ্রণ রয়েছে, যা দুই দেশের সংস্কৃতির অপূর্ব মিলন তুলে ধরেছে।
গল্পটি প্রাচীন দিনের চিঠির বিনিময়ে জন্ম নেওয়া এক মিষ্টি প্রেমের কাহিনি ঘিরে গড়ে উঠেছে। পাশাপাশি এতে ফুটে উঠেছে ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যের বন্ধন।
সিনেমাটি ৭, ৮ ও ৯ নভেম্বর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাশহর টাউন হলে প্রদর্শিত হবে। প্রতিদিন চারটি শো অনুষ্ঠিত হবে — সকাল ১১টা, দুপুর ২টা, সন্ধ্যা ৫টা এবং রাত ৭টায়। প্রদর্শনের পর সিনেমাটি বাংলাদেশসহ পুরো ভারতজুড়ে মুক্তি পাবে।
চিত্রায়ণ হয়েছে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং বাংলাদেশের সিলেটের বিভিন্ন মনোরম স্থানে। এতে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন শিল্পীও অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে সিলেটের অভিনেতা জয়ন্ত কুমার দাস পুলিশ কর্মকর্তার ভূমিকায় দর্শকদের মন মাতিয়ে তুলেছেন। গল্পে দেখা যায়, ভারতের এক নাগরিক বাংলাদেশে বিপদে পড়লে জয়ন্ত কুমার দাসের নেতৃত্বাধীন বাহিনী উদ্ধার অভিযানে নামে এবং অপরাধীদের শনাক্ত করে। এভাবেই সিনেমায় দুই দেশের সম্প্রীতি ও সহযোগিতার চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
অভিনয়ে রয়েছেন জয়ন্ত কুমার দাস, আবদুল মতিন লাল, রবিউল আওয়াল, রুবেল, জুনেদ, সামি সহ আরও অনেকে। ট্রেইলার মুক্তির পর থেকেই দুই বাংলার দর্শকরা প্রধান চরিত্র সিদ্ধার্থ সিনহা ও গৌতমী মিশ্রার পাশাপাশি জয়ন্ত কুমার দাসের অভিনয়কে প্রশংসা করছেন। বিশেষ করে সিলেটি ভাষায় নির্মিত হওয়ায় সিলেট অঞ্চলের দর্শকদের আগ্রহ তুঙ্গে।
জয়ন্ত কুমার দাস নিয়মিত অভিনয় জগতে সক্রিয়। সম্প্রতি তার কয়েকটি নাটক ও বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে তিনি মিউজিক ভিডিও ও নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন। তিনি সিলেটে বসবাস করেন, তবে তার মূল বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলায়। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একজন সাংবাদিক এবং নিবেদিত থিয়েটারকর্মী।
সিনেমাটির পরিচালক ভারতের সিদ্ধার্থ সিনহা এবং সিলেট থেকে কো-ডিরেক্টর হিসেবে ছিলেন সোহেল আহমেদ।
সব মিলিয়ে, “মামনের চিঠি” মুক্তি ঘিরে সিলেটসহ দুই বাংলার দর্শকদের প্রত্যাশা এখন চরমে।