
রাজধানীতে সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার: অন্তর্বর্তী সরকারের কড়া সতর্কবার্তা!
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীসহ সারাদেশের সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ধর্মীয় সহাবস্থান ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের যেকোনো প্রচেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
সোমবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক সরকারি বিবৃতিতে প্রেস উইং জানায়, রাজধানীর কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল ও সেন্ট জোসেফ স্কুল প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণসহ একাধিক নাশকতামূলক ঘটনার বিষয়ে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়,
“ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এই জঘন্য ও কাপুরুষোচিত হামলায় জড়িত প্রত্যেককে গ্রেপ্তারের জন্য র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যেই নজরদারি ও তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।”
সরকারের প্রেস উইং আরও জানায়, রাজধানীর সকল গির্জা, মন্দির, মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ, টহল ও প্রবেশপথে নিরাপত্তা তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রশ্নে কোনো ধরনের ‘শিথিলতা বা আপসের সুযোগ নেই’ বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে।
“বাংলাদেশে আন্তঃধর্মীয় ঐক্য আমাদের ঐতিহ্য— একে বিনষ্ট করার যেকোনো প্রচেষ্টা আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিহত করা হবে,”
বিবৃতিতে এমনটাই উল্লেখ করা হয়।
নিরাপত্তা জোরদারের এই পদক্ষেপকে রাজধানীর নাগরিক সমাজ, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো স্বাগত জানিয়েছে। তারা বলছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই সময়ে সকল ধর্মীয় স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।