
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ বিজেএমপি-র
ঢাকা প্রতিনিধি, HindusNews :
‘বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি’ (বিএমজেপি) ইশরাক হোসেনের বিতর্কিত মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সনের বৈদেশিক বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন সম্প্রতি বিএমজেপি সম্পর্কে একটি বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য করেন। তিনি দলের নামকে ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ‘ভারতীয় জনতা পার্টি’ (বিজেপি)-এর সঙ্গে তুলনা করে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, যা দলটির পক্ষ থেকে কড়াভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
বিএমজেপি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দলের নামের ‘জনতা’ শব্দটি বাংলাদেশের জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং এটি কোনো বিশেষ দেশ বা রাজনৈতিক দলের একচেটিয়া সম্পত্তি নয়। দলটির পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে, কেন একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ জেনেশুনে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একমাত্র নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিএমজেপি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাজনৈতিক দল। এটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের (নিবন্ধন নং ০৫৫) অনুমোদিত এবং সংবিধান ও আইন মেনে কাজ করে। দীর্ঘ ৭৮ বছর পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার আদায় এবং সাংবিধানিক অধিকারের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই দল গঠিত হয়েছে।
দলটি ইশরাক হোসেনের মন্তব্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বিভ্রান্তিকর এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন হিসেবে বর্ণনা করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, ভারতের একটি দলের সঙ্গে তুলনা এবং ‘ইসলাম বিদ্বেষী’ হবার অভিযোগ বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি উস্কানিমূলক এবং বিভ্রান্তিকর। বিএমজেপি যে কোনো ধর্ম বা সম্প্রদায়ের মানুষের সাংবিধানিক অধিকারে বিশ্বাসী এবং কোনো ধর্মবিদ্বেষী দল নয়, তা স্পষ্ট করা হয়েছে।
বিএমজেপি তাদের বিবৃতিতে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের দল এবং অন্য কোনো দেশের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনো প্রকার আদর্শিক বা সাংগঠনিক সম্পর্ক নেই। দলটি অবিলম্বে ইশরাক হোসেনকে তার বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে এবং ভবিষ্যতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও তাদের প্রতিনিধিত্বকারী নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল সম্পর্কে কোনো প্রকার উস্কানিমূলক মন্তব্য থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করেছে।
বিএমজেপির এই পদক্ষেপ একটি স্পষ্ট বার্তা হিসেবে ধরা হচ্ছে যে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার ও রাজনৈতিক স্বীকৃতির প্রতি তাদের অঙ্গীকার অটল। দলের পক্ষ থেকে মনে করানো হয়েছে, বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক বক্তব্য শুধুমাত্র রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে।