
এমপিওভুক্ত হচ্ছেন আরও ১১ হাজার ২২৮ শিক্ষক-কর্মচারী
ঢাকা প্রতিনিধি :
বাংলাদেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আরও ১১ হাজার ২২৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিও (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ)ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এর মধ্যে স্কুলের ৯ হাজার ৪৫৯ জন এবং কলেজের ১ হাজার ৭৬৯ জন শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছেন।
বুধবার অনুষ্ঠিত মাউশির অক্টোবর মাসের এমপিও কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পদাধিকার বলে সভায় সভাপতিত্ব করেন মাউশির মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক বি. এম. আব্দুল হান্নান। সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, অধিদপ্তরের নয়জন আঞ্চলিক পরিচালক ও উপপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় থাকা এসব শিক্ষক-কর্মচারীদের যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখন থেকে তারা নিয়মিতভাবে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন ও ভাতা পাবেন।
মাউশি সূত্রে জানা গেছে, নতুনভাবে এমপিওভুক্ত হওয়া ৯ হাজার ৪৫৯ জন স্কুল শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের এক হাজার ৭৭ জন, চট্টগ্রামের ৫৫৯ জন, কুমিল্লার এক হাজার ৪৪৫ জন, ঢাকার ২৬০ জন, খুলনার দুই হাজার ১৭৭ জন, ময়মনসিংহের এক হাজার ২৩৭ জন, রাজশাহীর ৬১২ জন, রংপুরের এক হাজার ২০৯ জন এবং সিলেট অঞ্চলের ৮৮৩ জন রয়েছেন।
অন্যদিকে কলেজ পর্যায়ের ১ হাজার ৭৬৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ২০২ জন, চট্টগ্রামের ১০৫ জন, কুমিল্লার ১৮১ জন, ঢাকার ১২৩ জন, খুলনার ২২৯ জন, ময়মনসিংহের ১২৫ জন, রাজশাহীর ৪২৩ জন, রংপুরের ২৪০ জন এবং সিলেট অঞ্চলের ১৪১ জন এমপিওভুক্ত হয়েছেন।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এমপিও তালিকা অনুমোদনের আগে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক মান, শিক্ষকের যোগ্যতা, স্থায়ী স্বীকৃতি ও শিক্ষার্থী সংখ্যা বিবেচনা করা হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ে অনিয়ম বা ভুলত্রুটি এড়াতে বিশেষ পর্যবেক্ষক দল নিয়োগ করা হয়েছিল।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, “শিক্ষকরা শিক্ষাক্ষেত্রের প্রাণ। তাদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের অঙ্গীকার। এই এমপিওভুক্তির মাধ্যমে শিক্ষকদের প্রাপ্য স্বীকৃতি দেওয়া হলো।”
এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষকরা এ সিদ্ধান্তে আনন্দ ও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। খুলনার এক স্কুলশিক্ষক বলেন, “বছরের পর বছর ধরে আমরা সরকারি স্বীকৃতির অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে আমাদের পরিশ্রমের মূল্যায়ন হয়েছে, এটি আমাদের জীবনের একটি বড় অর্জন।”
অধিদপ্তর জানিয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য দ্রুত ইন্টিগ্রেটেড পে অর্ডার (আইপিও) সিস্টেমে সংযুক্ত করা হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্যাদি জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।