
মধ্যপ্রদেশে লাভ জিহাদের শিকার খুশবু আহিরওয়ারের মরদেহ উদ্ধার! নির্যাতনের অভিযোগে প্রেমিক কাসিম গ্রেপ্তার!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মধ্যপ্রদেশের সেহোর জেলায় মডেল খুশবু আহিরওয়ারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। মাত্র ২১ বছর বয়সী এই তরুণীর মরদেহ ১০ নভেম্বর ভোরে জেলার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, খুশবুকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তার সারা শরীরে আঘাতের দাগ, মুখে ফুলে ওঠা চিহ্ন এবং গোপনাঙ্গে আঘাতের দাগ দেখে তারা নিশ্চিত হয়েছেন যে এটি কোনোভাবেই স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।
নিহতের মা লক্ষ্মী আহিরওয়ার জানান, তার মেয়েকে নিপীড়নের পর হত্যা করা হয়েছে এবং দোষীর কঠোর শাস্তি ছাড়া তারা কিছুই চান না। তার দাবি, খুশবুর দেহের অবস্থাই প্রমাণ করে যে তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। পরিবার এই ঘটনার পেছনে খুশবুর প্রেমিক কাসিমকে দায়ী করেছে এবং এফআইআর দায়েরের পর ১২ নভেম্বর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। অভিযোগে বলা হয়েছে, কাসিম দীর্ঘদিন ধরে নিজের পরিচয় গোপন করে খুশবুর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিল। খুশবুকে শারীরিক নির্যাতন করা হতো এবং ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপও দেওয়া হচ্ছিল বলে পরিবারের দাবি।
ঘটনার কয়েক দিন আগেই কাসিম খুশবুর মাকে ফোন করে জানায় যে সে মুসলিম এবং খুশবু তার সঙ্গে রয়েছে—তবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। পরবর্তীতে খুশবুও নিজে পরিবারকে আশ্বস্ত করে বলেন যে তিনি ভালো আছেন এবং কাসিমের সঙ্গে আছেন। এ কথোপকথনের পরই তার সঙ্গে পরিবারের শেষ যোগাযোগ হয়।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগ পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে তারা কোনো নিশ্চিত তথ্য দিচ্ছে না। কাসিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং পরিচয় গোপন, নির্যাতন ও ধর্ম পরিবর্তনে চাপ দেওয়ার অভিযোগগুলো তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে। এসব অভিযোগ সত্য কিনা—তা ময়নাতদন্ত, ফোন রেকর্ড এবং অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে যাচাই করা হবে।
এ ঘটনার পর এলাকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তেজনা ছড়ালেও পুলিশ সতর্কতা অবলম্বন করে বলেছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে না। তবে পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তারা পুরো ঘটনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে।