
লআন্তর্জাতিক ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা–২০২৬ উপলক্ষে বাঁশখালী ঋষিধামে প্রস্তুতি সভা : কমিটির আহ্বায়ক এডভোকেট অনুপম বিশ্বাস,সদস্য সচিব চন্দ্র শেখর মল্লিক
হৃদয় দাশ,কক্সবাজার প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক ধর্মীয় মহোৎসব ২২তম আন্তর্জাতিক ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা–২০২৬ সামনে রেখে চট্টগ্রামের বাঁশখালী ঋষিধামে আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর ২০২৫) অনুষ্ঠিত হলো শ্রীগুরু সংঘের উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা। সকাল থেকেই ঋষিধামজুড়ে ভক্ত, সন্ন্যাসী, সেবায়েত এবং শুভানুধ্যায়ীদের ভিড়ে সৃষ্টি হয় এক অপূর্ব আধ্যাত্মিক পরিবেশ। ভক্তদের মুখে ছিল উচ্ছ্বাস, আর মেলার প্রতি এক গভীর প্রত্যাশার আলো।
সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রীগুরু সংঘের সভাপতি ও বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব চন্দন সিনহা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালন করে সভার শুভ সূচনা করেন শ্রদ্ধেয় শ্রীমৎ স্বামী নিরঞ্জনানন্দ পুরী মহারাজ। পরে স্বাগত বক্তব্য দেন ঋষি অদ্বৈতানন্দ পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি বাবু দেবাশীষ পালিত, যার পৌরহিত্যে উপস্থিত ছিলেন ঋষিধাম ও তুলসীধামের পূজনীয় মোহন্ত শ্রীমৎ স্বামী সচ্চিদানন্দ পুরী মহারাজ।
সঞ্চালনায় ছিলেন ঋষি অদ্বৈতানন্দ পরিষদ বাঁশখালী শাখার সভাপতি অলোক দাশ। সভায় বক্তব্য প্রদান করেন শ্রীগুরু সংঘের সাধারণ সম্পাদক বিমল দেব, শ্রীমৎ স্বামী কৃপানন্দ পুরী মহারাজ, শ্রীমৎ স্বামী অক্ষরানন্দ পুরী মহারাজ, শ্রীমৎ স্বামী হরিকৃপানন্দ পুরী মহারাজসহ বিভিন্ন আধ্যাত্মিক নেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বক্তারা সকলেই ২০২৬ সালের কুম্ভমেলাকে সফল ও বর্ণাঢ্যভাবে আয়োজন করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ঋষিধাম পরিচালনা পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন পূজনীয় মোহন্ত শ্রীমৎ স্বামী সচ্চিদানন্দ পুরী মহারাজ। নতুন কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান এডভোকেট অনুপম বিশ্বাস, সদস্য সচিব হিসেবে মনোনীত হন চন্দ্র শেখর মল্লিক এবং অর্থ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান তড়িৎ কান্তি গুহ। কমিটি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত ভক্তদের মাঝে দেখা যায় আনন্দের জোয়ার, কারণ নতুন কমিটি নিয়ে তাদের প্রত্যাশা আরও বেড়েছে।
আয়োজকদের দাবি, ২০২৬ সালের আন্তর্জাতিক ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলাকে কেন্দ্র করে দেশ–বিদেশের লাখো ভক্তের সমাগম নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যেই নানামুখী প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আবাসনের ব্যবস্থা, পরিবহন ব্যবস্থাপনা এবং সেবামূলক কার্যক্রমসহ প্রতিটি বিষয়েই নতুন কমিটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তাদের বিশ্বাস, ভক্তদের সহযোগিতা ও আস্থা নিয়ে আগামী কুম্ভমেলা হবে আরও সুশৃঙ্খল, জাঁকজমকপূর্ণ এবং আধ্যাত্মিক আবহে ভরপুর।