
ভোলায় স্বেচ্ছায় বিবাহের পর নববধূকে আটকিয়ে অন্যত্র বিয়ের উদ্যোগ!
HindusNews ডেস্ক :
স্বেচ্ছায় বিবাহের পর নববধূ স্বর্ণা রানী শীলকে জোরপূর্বক আটক করে অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতির অভিযোগে ভোলা জেলায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। শাওন চন্দ্র শীল ও স্বর্ণা রানী—দুজনেই নিজেদের পূর্ণ সম্মতিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু বিয়ের পরপরই স্বর্ণার পরিবার তাকে ‘আইনগত প্রক্রিয়ার কথা বলার’ অজুহাতে বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর থেকে স্বর্ণাকে শাওনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না; বরং তাকে অন্যত্র বিবাহ দিতে পরিবারের পক্ষ থেকে তৎপরতা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শাওনের পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান, স্বর্ণাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটকে রাখা হয়েছে এবং তাকে নির্দিষ্ট একটি নতুন প্রস্তাবিত বিয়েতে বাধ্য করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তারা বলেন—একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর সিদ্ধান্তের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে এভাবে পরিবারিক চাপ প্রয়োগ করা শুধু অন্যায়ই নয়, এটি তার আইনগত অধিকারেরও লঙ্ঘন। এলাকাবাসী বিষয়টিকে মানবাধিকার-বিরোধী, অমানবিক ও অনৈতিক বলে উল্লেখ করেছেন।
ধর্মীয় দিক থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা জানান, একবার বিবাহ সম্পন্ন হলে সেটি আজীবন স্থায়ী ধরা হয়। তাই বিবাহের পর স্বর্ণাকে জোর করে অন্য কারও সঙ্গে বিবাহ দেওয়ার উদ্যোগ ধর্মীয় রীতি ও সামাজিক মূল্যবোধের সরাসরি পরিপন্থী। তারা মনে করেন, পরিবার যদি কোনো কারণে বিয়েতে অসম্মতি জানিয়েও থাকে, তবুও প্রাপ্তবয়স্ক দুই ব্যক্তির নিজস্ব সিদ্ধান্তকে এভাবে দমন করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
স্থানীয়দের দাবি, স্বর্ণার নিরাপত্তা এবং তার স্বাধীন ইচ্ছা নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। তারা আশা করছেন—প্রশাসন তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে এবং স্বর্ণা যেন তার স্বামী শাওন চন্দ্র শীলের কাছে নিরাপদে ফিরে যেতে পারেন।
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, আর মানুষের ভাষ্যে একটাই কথা—স্বেচ্ছায় বিবাহ করা দুই তরুণ-তরুণীর জীবনে জোরজবরদস্তি ও ভয়-ভীতি প্রয়োগের কোনো স্থান নেই।