
ভারতের জীবোত্তম মঠে নির্মাণাধীন ৭৭ ফিট শ্রীরাম মূর্তি : উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
HindusNews ডেস্ক :
গোয়ার শ্রী প্রতিষ্ঠান গোকর্ণ পার্তগলীয় জীবোত্তম মঠে গড়ে উঠছে ভারতের ইতিহাসে নজিরবিহীন এক ভাস্কর্য—৭৭ ফিট উচ্চতার ব্রোঞ্জ নির্মিত শ্রীরাম মূর্তি। শাস্ত্রসম্মত ভঙ্গি, প্রাচীন ভাস্কর্যকলার সূক্ষ্মতা এবং আধুনিক নান্দনিক নকশার সমন্বয়ে তৈরি এই বিরাট প্রতিমা শুধু আকারে নয়, মাহাত্ম্যেও ইতোমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
মঠ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দীর্ঘ পরিকল্পনা ও কয়েক বছরের শ্রমের পর মূর্তির নির্মাণ এখন সম্পূর্ণতার দ্বারপ্রান্তে। মূর্তির প্রতিটি অংশে ভক্তির আবেশ, ধর্মীয় ঐতিহ্যের গভীর ব্যঞ্জনা এবং দক্ষিণ ভারতীয় শৈলীর ছাপ স্পষ্ট। নির্মাণের প্রথম দিন থেকেই গোয়া থেকে শুরু করে দেশের নানা প্রান্তের সনাতনী ভক্তদের মধ্যে এই মূর্তিকে ঘিরে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা এখন আরও বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আগামী ২৮ নভেম্বর মঠের ৫৫০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই চোখধাঁধানো শ্রীরাম মূর্তির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে কেন্দ্র করে গোয়াজুড়ে ইতোমধ্যেই উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। উদ্বোধনের দিন গোয়া ও আশপাশের রাজ্যগুলো থেকে হাজার হাজার ভক্ত সমবেত হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মঠ এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতিও চলছে জোর কদমে।
ধর্মীয় বিশারদরা বলছেন, এই মূর্তি শুধু একটি ভাস্কর্য নয়; এটি ভারতীয় সনাতন ঐতিহ্যের এক নতুন গর্ব। শ্রী রামের ভাব, আদর্শ এবং ধর্মনিষ্ঠ জীবনের প্রতীকরূপ এই প্রতিমা গোয়া তথা সমগ্র ভারতের জন্য এক অনন্য মর্যাদার প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হবে। মঠের আচার্যরা মনে করছেন, এই মূর্তি উদ্বোধনের পর গোয়া আরও গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক কেন্দ্রে পরিণত হবে, যেখানে দেশ-বিদেশ থেকে ভক্ত ও পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পাবে।
মঠের এক প্রবীণ সন্ন্যাসী বলেন, “এটি কেবল একটি মূর্তি নয়, সনাতন ধর্মের শক্তি, ভক্তি ও ঐতিহ্যের পুনর্জাগরণ। এমন একটি মূর্তির স্বপ্ন আমরা বহুদিন ধরে দেখেছি। অবশেষে সেই স্বপ্ন具 বাস্তব রূপ পেল।”
উদ্বোধনের দিন আয়োজিত হবে বিশেষ পূজা, যজ্ঞ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ভক্তদের জন্য প্রার্থনা সভা। উৎসব হবে তিন দিনব্যাপী, যা গোয়া রাজ্যের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় আয়োজন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ভারতের শিল্প ও সংস্কৃতির ইতিহাসে ৭৭ ফিট উচ্চতার এই শ্রীরাম মূর্তি নিঃসন্দেহে নতুন একটি মাইলফলক। উদ্বোধনের পর এটি গোয়া-বাসী এবং সমগ্র দেশের জন্য এক চিরস্থায়ী গৌরবচিহ্ন হয়ে থাকবে—এমনটাই মনে করছেন সনাতন সমাজের মানুষজন।