
বৃন্দাবনপাড়ায় বিশ্বের বৃহত্তম শ্রীকৃষ্ণ বিগ্রহ প্রতিস্থাপন উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী মহোৎসব শুরু বৃহস্পতিবার
HindusNews ডেস্ক :
বাংলাদেশে সনাতন ধর্মীয় ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার সুয়াইতপুরের বৃন্দাবনপাড়া আশ্রম। বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম শ্রীকৃষ্ণ বিগ্রহ নির্মাণের কাজ। এই মহতী উপলক্ষকে কেন্দ্র করে আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ নভেম্বর ২০২৫—তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য মহোৎসবের প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আশ্রমের চারপাশজুড়ে এখন বিরাজ করছে ভক্তিময় পরিবেশ, রঙিন আলো, ধর্মীয় সংগীত আর হাজারো মানুষের আগমনে এক আলোকোজ্জ্বল আয়োজন।
মহোৎসবের প্রথম দিন ২৭ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে পবিত্র গীতাপাঠ। এই পাঠ পরিচালনা করবেন ধর্মীয় জগতে সুপরিচিত শ্রী গোপীনাথ দাস ব্রহ্মচারী মহাশয়। বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে আরও একটি বিশেষ গীতাপাঠ, যা পরিবেশন করবেন ভারতের একজন বিখ্যাত গীতাপাঠক। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁর নাম আপাতত প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিও সমান গুরুত্ব বহন করছে। ২৮ নভেম্বর, শুক্রবার নামকীর্তন শেষে দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে লীলা-কীর্তন, যা পরিবেশন করবেন ভারতের একজন খ্যাতিমান কীর্তনীয়া—যাঁর নামও নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এরপর বিকাল ৩টায় মঞ্চে উঠবেন বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত কীর্তনশিল্পী, যিনি শ্রুতিমধুর নাম-কীর্তন পরিবেশন করে ভক্তদের মন ছুঁয়ে যাবেন।
২৯ নভেম্বর, শনিবার মহোৎসবের শেষ দিন। এদিন সকাল থেকে শুরু করে সারাদিনব্যাপী চলবে ধর্মসভা, ভক্তিমূলক আলোচনা, উপদেশ, সঙ্গীত, প্রার্থনা ও নানা ধর্মীয় আয়োজন। এর মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হবে বিশ্বের বৃহত্তম শ্রীকৃষ্ণ বিগ্রহ প্রতিস্থাপনের ঐতিহাসিক মহোৎসব, যা দেখতে এবং অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইতোমধ্যেই ভক্ত-অনুরাগীরা আসতে শুরু করেছেন।
আয়োজক মণ্ডলীর ভাষ্যে—“বৃন্দাবনপাড়া আশ্রমে বিশ্বের বৃহৎ শ্রীকৃষ্ণ বিগ্রহ প্রতিস্থাপন সনাতন ধর্মের আধ্যাত্মিক ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। ভক্তদের হৃদয়ে ভগবানের প্রেম, কৃপা ও চেতনা জাগিয়ে তোলা—এই মহোৎসবের প্রধান উদ্দেশ্য।”
নেত্রকোণার এই আয়োজন শুধু স্থানীয় অঞ্চল নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যেও আনন্দ-উচ্ছ্বাসের নতুন স্রোত বইয়ে দিয়েছে। তিন দিনব্যাপী মহোৎসব ঘিরে বৃন্দাবনপাড়া আশ্রম হয়ে উঠবে সম্পূর্ণ ভক্তিময় এক তীর্থক্ষেত্র, যেখানে মিলিত হবে হাজারো মানুষের প্রার্থনা, উৎসর্গ আর আধ্যাত্মিকতার সুধাসাগর।