
ঝিনাইদহ-২ আসনে এম এ মজিদকে মনোনয়ন না দিলে ভোট বর্জনের হুঁশিয়ারি সনাতনী ভোটারদের
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, HindusNews
ঝিনাইদহ-২ আসনে বিএনপির জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদকে মনোনয়ন না দিলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাঁচ সাত হাজার সনাতনী ভোটার ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জেলার মোট ১১০টি পূজামন্দির কমিটি এবং চারটি সনাতনী সংগঠনের নেতারা এই অবস্থান তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জেলা আহ্বায়ক চন্দন বসু মুক্ত। সেখানে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সদস্য সচিব প্রহলদ সরকার, পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক মলিন কুমার ঘোষ, সদস্য সচিব সমীর কুমার হালদার, দিপংকর ঘোষ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান পরিষদের অরণ কুমার ঘোষ, গণেশ চন্দ্র বিশ্বাস, সুমন বিশ্বাসসহ সনাতনী সমাজের প্রবীণ ব্যক্তিত্ব অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শুষেন কুমার ভৌমিক, বিমল কুমার ঘোষাল ও সাধন কুমার ঘোষ।
বক্তারা বলেন, অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে ঝিনাইদহ-২ নির্বাচনী এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে ওঠে। সনাতনী সম্প্রদায়ের মানুষ নির্বিঘ্নে বসবাসের সুযোগ পান এবং বিগত দুই বছর দুর্গাপূজাসহ সব ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপিত হয়। তারা দাবি করেন, মজিদ শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতা নন, বরং সনাতনীদের ধর্মীয়, সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যবসায়িক বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখা একজন অভিভাবকের মতো। বিপদে-আপদে তিনি এগিয়ে এসেছেন, নিশ্চিত করেছেন নিরাপত্তা ও আশ্রয়।
এ কারণেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এম এ মজিদকে দেখতে চান এলাকার সনাতনী জনগোষ্ঠী। নেতৃবৃন্দ স্পষ্টভাবে জানান, তাকে মনোনয়ন না দেওয়া হলে সনাতনী ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। তাদের মতে, মজিদের অনুপস্থিতি এলাকায় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে এবং সনাতনীদের আস্থায় বড় ধরনের আঘাত লাগতে পারে।
এই ঘোষণায় ঝিনাইদহের রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এখন দৃষ্টি বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডের দিকে—সনাতনী সমাজের এই দৃঢ় অবস্থান দলীয় সিদ্ধান্তকে কোন দিকে প্রভাবিত করবে তা দেখার অপেক্ষা।