
ধামাইল গান গেয়ে প্রশংসায় ভাসছে দিরাইয়ের ক্ষুদে কণ্ঠশিল্পী শ্রেয়া তালুকদার
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার শ্যামার চর গ্রামের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী শ্রেয়া তালুকদার বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। মাত্র ১০ বছরের এই শিশু ধামাইল গানে এমন সুরেলা কণ্ঠ উপহার দিয়েছে যে মুহূর্তেই তার ভিডিও দেশজুড়ে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। বয়সে ছোট হলেও তার কণ্ঠে যে পরিণত সুর ও তাল-লয়ের সমন্বয় দেখা যায়, তা দেখে অনেকেই বিস্মিত। অনেকে মন্তব্য করেছেন—শ্রেয়াকে দেখে বয়স বেশি মনে হলেও তার প্রতিভা এবং সাধনাই মূল চমক।
ভাইরাল হওয়ার পর শ্রেয়াকে নিয়ে এলাকার মানুষে মধ্যে আনন্দের জোয়ার নেমেছে। স্থানীয়রা বলছেন, এত কম বয়সে এমন পরিপূর্ণ পরিবেশনা সচরাচর দেখা যায় না। ধামাইল গানের আঞ্চলিক স্বর ও নিখুঁত উচ্চারণের কারণে শ্রেয়াকে মুহূর্তেই তারা ‘ক্ষুদে তারকা’ হিসেবে দেখছেন। তার গান শুধু তাকে পরিচিত করেনি; বরং ধামাইল সংস্কৃতি নিয়েও মানুষের নতুন আগ্রহ তৈরি করেছে।
শ্রেয়ার সাফল্যের পেছনে পরিবার ও শিক্ষকের ভূমিকা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। বড় বোন সুপর্ণা চন্দ দীর্ঘদিন ধরে শ্রেয়াকে গান শেখাতে উৎসাহ দিয়ে আসছেন। তিনিই নিয়মিত ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করতেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ছড়িয়ে দিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন মিল্টন দাস, যার শেয়ার থেকেই দেশজুড়ে শ্রেয়ার গান ছড়িয়ে পড়ে এবং বিপুল প্রশংসা পায়।
শ্রেয়ার সংগীত শিক্ষা মূলত গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ ধামাইল উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ও তার সংগীত শিক্ষক অরুণ কান্তি তালুকদারের হাতে। তিনি শ্রেয়ার কণ্ঠ, তাল-লয়, উচ্চারণ এবং পরিবেশনা উন্নত করতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। অরুণ কান্তি তালুকদার বলেন, “শ্রেয়া খুব মনোযোগী। ধামাইল গান শেখার প্রতি তার আগ্রহ সত্যিই প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে সে আরও বড় কিছু করবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।”
মেয়ের এমন সাফল্যে সবচেয়ে আনন্দিত তার বাবা চন্দন তালুকদার। তিনি বলেন, “শ্রেয়া ছোট থেকেই গান ভালোবাসে। সবাই তার প্রতি যে ভালোবাসা দেখাচ্ছে, তাতেই আমরা সবচেয়ে খুশি।”