
মিলেমিশে একাকার ঐতিহ্য আর ভক্তি! সৃজিতের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’-এর নতুন গানে বুঁদ সকলেই
বিনোদন ডেস্ক :
প্রকাশ করতে পারবেন না—এমনটাই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ছবির অন্যতম অভিনেত্রী ইশা সাহা। কিন্তু নিজের অনুভূতি চেপে রাখতে পারেননি। তিনি বলেন, “ওঁর পরিচালিত ছবি ‘জুলফিকার’ যখন দেখতে গিয়েছিলাম, তখন স্কুলে পড়ি। আর এখন তাঁর পরিচালনাতেই অভিনয় করছি—নিজেরই কেমন অবিশ্বাস্য লাগছে।”
প্রায় পাঁচ শতাব্দী জুড়ে ছড়িয়ে থাকা মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবকে ঘিরে ইতিহাসের নানা উপকথা, তথ্য–সূত্র ও নানা অমীমাংসিত রহস্য। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, আবার বহু উত্তর হারিয়ে গেছে ইতিহাসের অন্দরে। সেই সব অজানা অধ্যায়কে নতুন করে সাজিয়ে ‘অসমাপ্ত জিগস-পাজল’ সমাধানের চেষ্টায় এগোচ্ছেন ‘এই যুগের পরিচালক রাই’। তাঁর এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্প ঘিরে ইতিমধ্যেই চলচ্চিত্রমহলে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
পরিচালক রাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইশা সাহা। তাঁর চরিত্রটি মূলত একজন গবেষক-পরিচালকের, যিনি বহু বছরের ‘অপূর্ণ ইতিহাস’কে সিনেমার ভাষায় নতুন করে জীবন্ত করার চেষ্টা করছেন। আর রাই যে ছবিটি নির্মাণ করছেন, সেই ছবির মধ্যেই চৈতন্যের চরিত্রে অভিনয় করছেন যিনি—অর্থাৎ পার্থসারথির ভূমিকায় দেখা যাবে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে।
অন্যদিকে, চৈতন্য-যুগ এবং বাংলার নাট্যঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলি ফুটিয়ে তুলতে ছবিতে আরও যুক্ত হয়েছেন বিশিষ্ট অভিনেতারা। বিনোদিনীর চরিত্রে রয়েছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। গিরিশচন্দ্র ঘোষের ভূমিকায় অভিনয় করছেন নাট্যব্যক্তিত্ব ও মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আর শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের চরিত্রে দেখা যাবে পার্থ ভৌমিককে—যা ইতিমধ্যেই দর্শকদের মধ্যে বিশেষ কৌতূহল তৈরি করেছে।
ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ চরিত্রগুলোর সমাবেশ, পাশাপাশি একাধিক সময়রেখাকে সমান্তরালভাবে বুনে গল্প বলার চেষ্টা—সব মিলিয়ে ছবিটি মুক্তির আগেই আলোচিত। টলিউডের জনপ্রিয় মুখদের পাশাপাশি গবেষণাধর্মী বিষয়বস্তু এই প্রকল্পকে আলাদা মর্যাদা দিচ্ছে।
পরিচালক কিংবা প্রযোজনা সংস্থা কেউই এ মুহূর্তে কাহিনির বিস্তারিত প্রকাশ করতে চাইছেন না। তবে শিল্পীদের মন্তব্য, চরিত্রের বিন্যাস এবং প্রেক্ষাপটের ইঙ্গিত—সব মিলিয়ে বোঝাই যাচ্ছে, সমকালীন বাংলা সিনেমায় এটি হতে চলেছে এক বিশেষ নির্মাণ।