
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা বিদ্যাপীঠের উদ্বোধন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন : ধর্মীয় চেতনা জাগ্রত করতে গীতা শিক্ষার ওপর গুরুত্ব
তুর্য দাস, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের বাঁধনপাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির প্রাঙ্গণে শুক্রবার সকাল ১১টায় ভক্তিপূর্ণ আবহে অনুষ্ঠিত হলো শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা বিদ্যাপীঠের শুভ উদ্বোধন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণে পুরো এলাকাজুড়ে ছিল ধর্মীয় চেতনা, আনন্দ ও উৎসবের উচ্ছ্বাস।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শ্রীশ্রী বাঁধনপাড়া সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি এবং শ্রীশ্রী বাঁধনপাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির পরিচালনা কমিটি। সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ যোগেশ্বর দাস এবং সঞ্চালনা করেন পৈন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীহার রঞ্জন সরকার। শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাঁধনপাড়া দুর্গাপূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন কান্তি দেব বিল্টু বলেন, “গীতা শিক্ষা মানুষকে সত্য, ন্যায় ও মানবিকতার পথে পরিচালিত করে। বিদ্যাপীঠের পথচলা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আরও দৃঢ় করবে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শ্রীহট্ট সংস্কৃতি কলেজের অধ্যক্ষ গৌরাঙ্গ রঞ্জন চক্রবর্তী, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা গোপেশ তালুকদার, ব্যাংক কর্মকর্তা দেবল তালুকদার, শিক্ষক অজয় কুমার, ড্যাফোডিল কিন্ডার গার্টেনের অধ্যক্ষ অজিত কুমার দাস, গীতা পাঠক অজিত কুমার ভদ্র, ব্যাংক কর্মকর্তা গৌতম কুমার দাস, সামাজিক সংগঠক লিটন দাস, পীযুষ তালুকদার, চিন্তাহরণ চৌধুরী এবং অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।
অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল সংবর্ধনা পর্ব। কানাডা প্রবাসী, শ্রীশ্রী বাঁধনপাড়া সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি এবং মন্দির পরিচালনা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার ধর-কে বিশেষ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধনা গ্রহণের পর তিনি বলেন,
“গীতা শিক্ষার মূল ধারাটি হলো মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের গীতা শিক্ষা দিলে তাদের মধ্যে নীতি, আদর্শ ও নৈতিক সাহস গড়ে ওঠে। পরিবারে শান্তি, সমাজে সম্প্রীতি ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠায় ধর্মীয় জ্ঞান অপরিহার্য।”
তিনি আরও জানান, প্রবাসে থেকেও এলাকার ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে তিনি যেকোনো সময় সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত।
অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যাপীঠের সফল যাত্রা ও সবার মঙ্গল কামনায় প্রার্থণা ও উপস্থিত ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা বিদ্যাপীঠ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধর্মীয় শিক্ষা, মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতায় পথ দেখাবে—এমনটাই প্রত্যাশা করছে পুরো বাঁধনপাড়া সম্প্রদায়।