
সন্দ্বীপে গৃহবধূ রিতা রানীর নিখোঁজ : পরিবারের উৎকণ্ঠা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মন মাঝির বাড়িতে বসবাসরত গৃহবধূ রিতা রানী (২০) রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তিন দিন ধরে তার কোনো সন্ধান না পাওয়ায় স্বজনরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রিতা রানীর স্বামী প্রবাসে থাকেন। তাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। রিতা রানীর বাবার বাড়ি পাশের মগধরা আমতলীতে হলেও তিনি শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। কয়েক মাস ধরেই তিনি মোবাইল ফোনে ঢাকার এক নারীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। প্রায় এক বছর আগে তাদের পরিচয় হয়, যা পরবর্তীতে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বে রূপ নেয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ ডিসেম্বর ঢাকার সেই নারী কুমিরা হয়ে গুপ্তছড়া ঘাটে আসেন। রিতা রানী তাকে শ্বশুরবাড়ি গাছুয়ায় নিয়ে আসেন। সেখানে দুই দিন একসঙ্গে অবস্থান করেন তারা। পরিবারের দাবি—ঢাকা থেকে আসা মেয়েটির আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক ছিল, তবে রিতা রানীর প্রতি তার অস্বাভাবিক ঘনিষ্ঠতা প্রকাশ পেলেও কেউ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি।
নিখোঁজের দিন সকাল ৮টা, রিতা রানী বাবার বাড়ি মগধরায় যাওয়ার কথা বলে ঢাকার সেই বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু সেখানে না পৌঁছানোয় উদ্বেগ বাড়ে। পরে পরিবারের সদস্যরা তার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। একইভাবে ঢাকার মেয়েটির মোবাইল ফোনও বন্ধ থাকায় বিষয়টি আরও রহস্যজনক হয়ে ওঠে।
এ ঘটনায় পরিবার আশঙ্কা করছে, পরিকল্পিতভাবে ওই নারী রিতা রানীকে প্রলোভন দেখিয়ে বা চক্রের সহায়তায় অপহরণ করে নিয়ে যেতে পারেন। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নেওয়া হলেও এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা বলছেন, ঢাকার সেই অচেনা নারীর আগমন ও আচরণ শুরু থেকেই প্রশ্নের জন্ম দিয়েছিল, যা এখন নিখোঁজের ঘটনার সঙ্গে আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে রিতা রানীর খোঁজ পেতে সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। কেউ কোনো তথ্য পেলে নিচের নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে—
যোগাযোগ: ০১৩১৯০৫১৯৮১
রিতা রানীর নিখোঁজ হওয়া এখন পুরো অঞ্চলের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি দ্রুত তদন্ত করে তাকে উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।