
বাগেরহাট–১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এ্যাডভোকেট অমিতাভ বড়ালকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন গুঞ্জন
HindusNews ডেস্ক :
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাগেরহাট–১ (আসন ৯৫) এখন তুমুল আলোচনায়। এই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাডভোকেট অমিতাভ বড়াল। তিনি দক্ষিণ বাংলার প্রয়াত নেতা এ্যাডভোকেট কালিদাস বড়ালের ভাতুস্পুত্র এবং বারবার নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়ালের সন্তান। তাঁর প্রার্থিতা নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন আলোড়ন তুলেছে, আর সেই আলোড়নকে আরও তীব্র করে তুলেছে নানা ধরনের গুঞ্জন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর প্রার্থিতা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ, কমিউনিটি পেজ এবং ব্যক্তিগত টাইমলাইনে তাঁকে নিয়ে সমর্থন, প্রত্যাশা, শুভকামনা ও বিশ্লেষণের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই লিখছেন যে তারা বাগেরহাটে “একটি নতুন নেতৃত্বের উত্থান” দেখছেন, আবার কেউ কেউ তাঁর প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান জানিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন। তরুণরা তাঁর আইনজীবী পরিচয়, শিক্ষাগত ব্যাকগ্রাউন্ড এবং নীরব কিন্তু দায়িত্বশীল কাজের ধরণকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন বলে জানা গেছে।
প্রয়াত এ্যাডভোকেট কালিদাস বড়ালের হত্যাকাণ্ডও নতুন করে আলোচনায় ফিরেছে। ২০০০ সালের ২০ আগস্ট প্রকাশ্যে গুলিতে নিহত হওয়ার সেই ঘটনা আজও বাগেরহাটের মানুষ ভুলে যায়নি। তাঁর মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ ও গুঞ্জন শোনা গেছে, যা বর্তমানে নির্বাচনী উত্তাপের কারণে আবারও সামনে উঠে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, পরিবারের ওপর হওয়া সেই ট্র্যাজেডি আজও মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে আছে, আর সেই আবেগের ধারাবাহিকতাই অমিতাভ বড়ালের প্রতি মানুষকে আরও অনুকূল করে তুলছে।
অঞ্চলের রাজনৈতিক অঙ্গনে আরও একটি গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে—দলীয় প্রার্থীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও অসন্তোষ স্বতন্ত্র প্রার্থী অমিতাভ বড়ালের জন্য একটি অঘোষিত সুবিধা তৈরি করতে পারে। অনেকেই বলছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক মতের লোকজন নীরবে তাঁকে সমর্থন করছেন এবং নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এই সমর্থন প্রকাশ্যে আসতে পারে। যদিও এসব গুঞ্জন সম্পর্কে তিনি খুব সংযত। পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি কারও ছায়া বা প্রভাব নয়, কেবল জনগণের আশীর্বাদ নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
সামাজিক মাধ্যমের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তাঁকে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে গেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বিভিন্ন পোস্টে তাঁকে “পরিচ্ছন্ন”, “সৎ”, “প্রতিশ্রুতিশীল”, “পরিবর্তনের প্রত্যাশা” ইত্যাদি শব্দে বর্ণনা করা হচ্ছে। তাঁকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া অনলাইন-সমর্থন কার্যত মাঠের প্রচারণাকেও প্রভাবিত করছে। অনেকেই তাঁর পোস্ট শেয়ার করছেন, শুভকামনা জানাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ তাঁর পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আবেগঘন স্মৃতিও শেয়ার করছেন।
যদিও অমিতাভ বড়ালের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি
বাগেরহাট–১ আসনে এখন যে গুঞ্জন, প্রত্যাশা, বিশ্লেষণ এবং সমর্থনের ঢেউ চলছে, তাতে স্পষ্ট—এবারের নির্বাচনে এই আসনটি হবে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও আলোচিত আসনগুলোর একটি। শেষ পর্যন্ত জনগণ কাকে তাঁদের প্রতিনিধি হিসেবে বেছে নেবেন, সে সিদ্ধান্তই এখন সকলের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।