
মুর্শিদাবাদে অযোদ্ধার আদলে রাম মন্দির নির্মাণের ঘোষণা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় রাম মন্দির নির্মাণকে কেন্দ্র করে নতুন উৎসাহ ছড়িয়ে পড়েছে। জেলার বহরমপুরে অযোদ্ধার রাম লালা মন্দিরের প্রতিরূপে একটি বিশাল রাম মন্দির নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন বিজেপি নেতা সাখারভ সরকার, যিনি শনিবার জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভূমিপূজা ও শিলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মন্দির নির্মাণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন।
স্থানীয় বিজেপি কর্মী, সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং বহু সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে আয়োজিত এ ভূমিপূজা ছিল সম্পূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠানসমৃদ্ধ। পণ্ডিতদের মন্ত্রোচ্চারণ ও ঐতিহ্যবাহী আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সাখারভ সরকার ভূমি-দেবীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মন্দির নির্মাণের সূচনা করেন। অনুষ্ঠানের সময় চারপাশে ছিল ঢাক-ঢোল, ফুল, আলো ও পূজা–আর্জির এক উৎসবমুখর আবহ।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাখারভ সরকার জানান, বহরমপুরে নির্মিতব্য রাম মন্দিরটি হবে অযোদ্ধার রাম লালা মন্দিরের আদলে, তবে আকারে আরও বড় এবং আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন। তিনি বলেন, “আমরা আগে থেকেই জানিয়েছিলাম—৬ ডিসেম্বর রাম মন্দির নির্মাণের সকল ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে। আজ ভূমিপূজা ও শিলা প্রতিষ্ঠা তারই অংশ। বহরমপুরে রাম মন্দির শুধু একটি উপাসনালয় নয়, বরং একটি বৃহৎ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হয়ে উঠবে।”
সাখারভ সরকার আরও জানান, মন্দির নির্মাণ ও ভবিষ্যৎ পরিচালনার জন্য ‘রাম মন্দির চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ গঠন করা হয়েছে। মন্দিরের পাশে একটি আধুনিক হাসপাতাল ও একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে, যা স্থানীয় জনসাধারণের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। তার ভাষায়, “এই মন্দিরকে ঘিরে একটি সম্পূর্ণ উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাই, যাতে মানুষ শুধু ধর্মীয়ভাবে নয়, সামাজিকভাবেও উপকৃত হয়।”
স্থানীয় পর্যায়ে সাখারভ সরকারের এই উদ্যোগকে ঘিরে ইতোমধ্যেই ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন, বহরমপুরে রাম মন্দির নির্মাণ নতুন পর্যটন সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে, পাশাপাশি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্যও এটি একটি কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে।
সব মিলিয়ে মুর্শিদাবাদে রাম মন্দির নির্মাণের এই ঘোষণা স্থানীয় রাজনীতি ও জনজীবনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ভূমিপূজার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হওয়ায় আগামী দিনে এই প্রকল্প ঘিরে আরও বড় আয়োজন ও কর্মযজ্ঞ দেখা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।