
জগন্নাথ হলের সরস্বতী পূজাকে গিনেস রেকর্ডে অন্তর্ভুক্তির আবেদন করেছেন জি. এস. সুদীপ্ত প্রামাণিক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জি.এস.) সুদীপ্ত প্রামাণিক এ বছর জগন্নাথ হলের ঐতিহ্যবাহী সরস্বতী পূজাকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল শুধু পূজা আয়োজনই নয়, বরং ধর্মীয়–সাংস্কৃতিক সহাবস্থানের এক অনন্য প্রতীক হিসেবে পরিচিত। সেই ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির বিশ্বমঞ্চে স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে এই প্রথমবারের মতো এমন উদ্যোগ নেওয়া হলো।
জানা যায়, হল সংসদের পক্ষে প্রয়োজনীয় ছবি, ভিডিও এবং আয়োজনের পরিসংখ্যান গিনেস কতৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। আবেদন গৃহীত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সুদীপ্ত প্রামাণিক বলেন, “জগন্নাথ হলের সরস্বতী পূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি সনাতনী শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা। এখানে যে ভক্তি উদারতা, সাংস্কৃতিক সৌন্দর্য ও অংশগ্রহণের ব্যাপকতা দেখা যায়—তা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির যোগ্য।”
জগন্নাথ হলের সরস্বতী পূজা বহু বছর ধরে ঢাকা শহরের অন্যতম বৃহৎ ও সুশৃঙ্খল পূজা আয়োজন হিসেবে পরিচিত। পূজা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী, সাবেক শিক্ষার্থী, ঢাকার বিভিন্ন এলাকার অভিভাবকসহ নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ একত্রিত হন। পূজা মণ্ডপ, শিল্পকলার সাজসজ্জা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং সার্বজনীন অংশগ্রহণ—সব মিলিয়ে এটি প্রতি বছর রূপ নেয় এক বিশাল উৎসবে।
হল প্রশাসন জানিয়েছে, পূজা আয়োজনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণই জগন্নাথ হলকে দেশের অন্যসব পূজা আয়োজন থেকে আলাদা করে তোলে। পূজা প্রাঙ্গণে অমুসলিমদের পাশাপাশি মুসলিম শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের উপস্থিতিও থাকে উল্লেখযোগ্য। এই সমন্বয়, সম্প্রীতি এবং সামাজিক সংহতির প্রতিচ্ছবি হিসেবেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের স্বীকৃতি আদায়ের প্রয়াস।
গিনেস কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক যাচাই–বাছাই শেষ হলে পরবর্তী ধাপে যাচাই দল পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা আশা করছেন, জগন্নাথ হলের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য, অংশগ্রহণের ব্যাপ্তি এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে।