
ধর্ষণে অভিযুক্তের ভিন্ন ধর্মীয় পরিচয় কি ইসলামপন্থীদের প্রতিক্রিয়া বদলে দেয়?
লেখক
হাসান আল মাহমুদ:
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেশ কয়েকটি আলোচিত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে দেশে। এই ঘটনাগুলোর কোনটির ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে প্রতিবাদে সরব হতে দেখা গেছে আলেম সমাজ, ইসলামপন্থী রাজনৈতিক সংগঠন এবং ইসলামী ব্যক্তিত্বদের অনেককে। আবার কোনটিতে একদম নীরব ছিলেন এই ধরনের সংগঠন ও ব্যক্তিত্বরা।
এসব ঘটনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল গত আগস্ট মাসে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক হিন্দু যুবক কর্তৃক অপ্রাপ্তবয়স্ক এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ও সেপ্টেম্বরে সিলেটের বিয়ানীবাজারে হিন্দু পুরোহিত কর্তৃক ১২ বছরের একজন মুসলিম বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। এই দুটি ঘটনায়, বিশেষ করে কালিয়াকৈরের ঘটনায় দেশব্যাপী ইসলামপন্থী বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিত্ব কয়েক সপ্তাহ ধরে রাস্তায় মিছিল-বিক্ষোভ করে এবং সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখির মাধ্যমে প্রতিবাদে সরব ছিলেন।
কালিয়াকৈরের ঘটনাটিতে জয় কুমার দাস নামের এক হিন্দু যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ১৩ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের। ঘটনাটি গত ২০ আগস্ট সংঘটিত হলেও অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ভিক্টিমের পরিবার জয় কুমার ও আরও তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করলে আলোচনার সূত্রপাত হয়। অভিযুক্ত জয় কুমারকে ১৪ অক্টোবর আটক করে পুলিশ। এ নিয়ে দ্য ডিসেন্ট এর অনুসন্ধানী ও বিশ্লেষণধর্মী প্রতিদবেদন দেখুন এখানে ও এখানে।
কালিয়াকৈরের ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ইসলামপন্থীদের
হিন্দু যুবক কর্তৃক মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ জনসমক্ষে আসার পর অভিযুক্ত যুবকের শাস্তির দাবিতে জোরালো আওয়াজ তোলেন ইসলামপন্থীরা।
ধর্ষণে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে গত ১৭ অক্টোবর রাজধানীতে বিক্ষোভ করে ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও গাজীপুর জেলা শাখা।
২০ ও ২১ অক্টোবর এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে ইসলামী ছাত্রী সংস্থা ঢাবি, রাবি ও চবি শাখা।
অভিযুক্তের শাস্তি দাবিতে ২২ অক্টোবর বিবৃতি দিয়েছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ।
২৩ অক্টোবর হেফাজতে ইসলামের এক বিবৃতিতে কালিয়াকৈর ও বিয়ানীবাজারের ধর্ষণের ঘটনাকে ইঙ্গিত করে বক্তব্য দেয়া হয়েছে।
কালিয়াকৈরের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে সোচ্চার হতে দেখা গেছে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা মীর ইদ্রিস, মুফতি হারুন ইজহার, জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ, মিজানুর রহমান আজহারী, অনলাইনে জনপ্রিয় লেখক আসিফ আদনান, শামসুল আরেফিন শক্তি, জাকারিয়া মাসুদ, আহমেদ রফিক, আসিফ মাহতাব উৎসসহ প্রমুখকে।
ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী সরাসরি গাজীপুরের ঘটনার উল্লেখ না করলেও মুসলিম নারীদের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক একটি পোস্ট দেন গত ২৩ অক্টোবর।
পোস্টটিতে তিনি লিখেন, “সম্প্রতি ফাঁদে ফেলে সংগঠিত ধর্ষণগুলো মুসলিম তরুণীদের জীবনের নিছক কোনো ট্র্যাজেডি নয় বরং আমাদের সামগ্রিক নৈতিক অবক্ষয়ের এক অশনিসংকেত। পাশাপাশি এটি দেশের স্থিতিশীলতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার এক অপচেষ্টা-ও বটে। যদি এটি কোনো অপশক্তির ষড়যন্ত্র হয়ে থাকে, তাহলে তা গোটা দেশ ও জাতির নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলার জন্য চরম এক হুমকি। প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতা আমাদের নাগরিক নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এসব অপকর্মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।”
এক ওয়াজে মাওলানা মামুনুল হককে বলতে শোনা যায়, “একজন ১৩ বছরের মুসলিম কিশোরীকে ফাঁদে ফেলে তার সরলতার সুযোগ নিয়ে হিন্দু যুবক তার শ্লীলতাহানি করেছে। সুপরিকল্পিতভাবে তার সাথে যোগাযোগ তৈরি করে আরও ৩ জন মিলে তাকে অপহরণ করে এক জায়গায় আটকে রেখে ৩ দিন ধরে উপুর্যপুরি ধর্ষণ করেছে। তার জীবনকে একটা ভয়াবহ বিষন্নতার দিকে ঠেলে দিয়েছে।”
আসিফ আদনানের ফেসবুক আইডিতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে অন্তত ৫টি পোস্ট পাওয়া যায়। এ বিষয়ে নিজে কোন পোস্ট না করলেও অন্তত ৩টি পোস্ট শেয়ার করেন মুফতি হারুন ইজহার । এছাড়া এ বিষয়ে একাধিক পোস্ট দিতে দেখা যায় অনলাইনে জনপ্রিয় ইসলামী এক্টিভিস্ট শামসুল আরেফিন শক্তি, জাকারিয়া মাসুদ, আহমেদ রফিক প্রমুখকে।
একইরকম ভাবে সিলেটের বিয়ানীবাজারে হিন্দু পুরোহিত কর্তৃক ১২ বছরের মুসলিম কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ সামাজিক মাধ্যমে আসার পর ইসলামপন্থীরা রাস্তায় এবং অনলাইনে প্রতিবাদে সরব হোন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের পক্ষ থেকে সিলেটে মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। ইসলামপন্থী অনলাইন ব্যক্তিত্বরা এই ঘটনায় নিয়মিত লেখালেখি করেছেন।
কাছাকাছি সময়ের আরও দুটি ধর্ষণের ঘটনা
এদিকে কাছাকাছি সময়েই (অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি) ঢাকার নবাবগঞ্জে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ ওয়াসিমের বিরুদ্ধে ৫ ছাত্রীকে ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠে। গত ১৫ অক্টোবর ঘটনাটি জানাজানি হলেও এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয় গত ২৪ অক্টোবর।
ওই সময়েই (২৫ অক্টোবর) গাজীপুরের শ্রীপুরে মো. মহসিন নামের হাফেজি মাদ্রাসার একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত শিক্ষক মহসিনকে জনতা আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ এসে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে তাকে হেফাজতে নেয়। দেশের সংবাদমাধ্যমে এই দুটি ঘটনা ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।
মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, কিশোরীর আত্মহত্যা
সর্বশেষ গত ৪ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জের মকসুদপুরে ধর্ষণের শিকার একজন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার অভিযোগে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। পরিবারের অভিযোগ, গত ২৬ নভেম্বর হজরত আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান শিকদার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এই ঘটনার পর ওই কিশোরী মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দিলে বিভিন্ন মাধ্যমে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুল হাসান তাকে মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য চাপাচাপি করেন। খাদিজা বেগম নামের একজন শিক্ষিকাও তাকে মাদ্রাসায় যাওয়ার ও অভিযুক্ত শিক্ষককে বিয়ে করার জন্য চাপ দেন। রাজি না হলে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেন। অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান ও খাদিজা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে মাহমুদুল হাসানকে আটক করে পিটুনি দেয় স্থানীয় জনতা।
আত্মহত্যাকারী কিশোরীর বড় বোন সাদিয়া আক্তার দ্য ডিসেন্ট-কে বলেছেন, “আমার বোনের সাথে এ ঘটনা ঘটার পর সে মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেয়। হুজুর মাদ্রাসায় তাকে নেওয়ার জন্য অন্য ছাত্রীদের পাঠান। আমার বোন বলে দেয় যে সে যাবে না। পরে ওই শিক্ষিকাও আমার বোনকে মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য ফোন করে। ফোন না ধরায় সে আমার বোনকে মোবাইলে মেসেজ পাঠায়। মাদ্রাসায় যেতে বলে। আর হুজুরকে বিয়ে করতে বলে। আমার বোন তাকেও জানিয়ে দেয় এটা সম্ভব না। এরপর সে আমার বোনকে বলে, তুমি যদি মাদ্রাসায় না যাও আর হুজুরকে বিয়ে না করো তাহলে তোমার ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিলে তোমার মানসম্মান থাকবে না। এতে আমার বোন ভয়ে আত্মহত্যা করে।”
ঘটনা জানার পরই আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, “ঘটনাটা ঘটার পরই আমার বোন আমাকে বিষয়টা জানাইসে। সে আমাকে বলছে আমার অন্য বোনরাও যদি জানে তাহলে সে আত্মহত্যা করবে। তাই মানসম্মানের ভয়ে আমরা মামলার দিকে যাইনি। পরে এক সপ্তাহ ধরে ওই হুজুর বিভিন্নভাবে তাকে মাদ্রাসায় নেওয়ার চেষ্টা করে। ওই মহিলা হুজুরকে আমার বোনের পিছনে লাগায়। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মহিলা হুজুর যখন তাকে মানসম্মানের ভয় দেখায় তখনই সে আমাকে ফোনে এটা জানায়। আমি ছিলাম তখন আমার শ্বশুর বাড়ি। আমি ওকে বলছি তুমি ভয় পাইয়ো না, কিছু হবে না, আমি আসতেছি। আমি শ্বশুর বাড়ি থেকে বাপের বাড়ি আসতে আসতেই আমার বোন আত্মহত্যা করে।”
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন বলেন, “আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। সেখানে ধর্ষণের কথাও বলা হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বের হলে যদি ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায় তাহলে আমরা সেই ধারাটিও যুক্ত করবো।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষিকার মোবাইলে প্রাথমিকভাবে ভিডিওটি পাওয়া যায়নি। তবে ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল কিনা বা পরে ডিলেট করে দেওয়া হয়েছে কিনা সেটা জানার জন্য আমরা ফোনটি ফরেনসিক করবো। এসব রিপোর্ট বের হলেই আসল তথ্য উদঘাটন করা যাবে।”
শ্রীপুর, নবাবগঞ্জ ও গোপালগঞ্জের ঘটনায় ইসলামপন্থীরা নীরব
দুই হিন্দু ব্যক্তি কর্তৃক মুসলিম দুই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর তাদের বিচারের দাবিতে ইসলামপন্থীদের যেভাবে সরব হতে ও কর্মসূচি ঘোষণা করতে দেখা গেছে, কিন্তু গাজীপুরের শ্রীপুরে এবং ঢাকার নবাবগঞ্জে মাদ্রাসার দুই শিক্ষক কর্তৃক ৫জন কিশোর/কিশোরী শিক্ষার্থীদের ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসার পর কিম্বা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাদ্রাসার দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কিশোরী ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ মিডিয়াতে আসার পর একই ইসলামপন্থী সংগঠন বা ব্যক্তিত্বদেরকে প্রতিবাদে সরব হতে দেখা যায়নি।
উপরিউক্ত ইসলামী সংগঠন এবং ব্যক্তিত্বদের সোশাল মিডিয়া একাউন্ট, পেইজ ঘেঁটে শ্রীপুর, নবাবগঞ্জ ও গোপালগঞ্জের ঘটনায় তাদের বিবৃতি, বিক্ষোভ কর্মসূচি বা প্রতিবাদী লেখালেখি পাওয়া যায়নি।
আলেমদের ও ইসলামপন্থী নেতাদের বক্তব্য
ধর্ষণে অভিযুক্তের ধর্মীয় পরিচয়ের সাথে প্রতিক্রিয়া পাল্টে যায় কেন এমন প্রশ্নের জবাবে হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, আমরা ধর্ষণের মত ঘটনাকে কোনভাবেই প্রশ্রয় দিইনা এবং ভবিষ্যতেও দিব না। মাদ্রাসা কেন্দ্রিক যেসব অভিযোগুলো উঠে অনেক সময় দেখা যায় বাংলাদেশের মিডিয়া সেগুলো ভুলভাবে উপস্থাপন করে এবং বাড়িয়ে দেখায়। পরে দেখা যায় বাস্তবের সাথে মিল নেই।
গোপালগঞ্জের ঘটনা সম্পর্কে ৭ ডিসেম্বর তিনি বলেছেন, “গোপালগঞ্জের এই ঘটনা এখনো আমাদের চোখে এখনও পড়েনি। আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখবো।”
কালিয়াকৈরের ঘটনায় প্রতিবাদমুখর থাকা হেফাজত নেতা মাওলানা মীর ইদ্রিসের কাছে কোন ঘটনায় চুপ থাকা এবং কোন ঘটনায় সরব হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ধর্ষণ যেই করুক সেটা অপরাধ। এটা যেমন ইসলামে অপরাধ তেমনি রাষ্ট্রীয় আইনেও অপরাধ। অতএব দুই জায়গায় দুই ধরণের অবস্থানের সুযোগ নাই। যেই এধরণের অপরাধ করুক আমরা সেটার নিন্দা জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “দেখুন ধর্ষণ সব জায়গায়ই হয়। কিন্তু মাদ্রাসার বিষয়গুলা বেশি আলোচিত হয় কারণ সাদা কাপড়ে দাগ লাগলে সেটা বেশি দেখা যায়। অনেক সময় অভিযোগগুলা খতিয়ে দেখতে হয়। সবসময় যে অভিযোগ সত্য হয় তাও না। এখন তো বাংলাদেশের আইনে স্ত্রীও স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় দু’জনের সম্মতিতে এগুলো হয় পরে মতের মিল না হলে অভিযোগ উঠে। তাই সত্য মিথ্যা যাচাই করে প্রতিক্রিয়া জানাইতে হয়। আমরা প্রতিবাদ কেন জানাবো না, আমরা অবশ্যই প্রতিবাদ জানাই।”
হিন্দু যুবক কতৃক মুসলিম কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে সোচ্চার হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, “কিছু ঘটনা থাকে অস্বাভাবিক। সেনসেটিভ হওয়ার কারণে ওইটা নিয়ে প্রতিবাদও ওইভাবে উঠে। হিন্দু মেয়েটার বিষয়ে, মেয়েটা অপ্রাপ্ত বয়স্ক, আলাদা ধর্ম, দুইজন অনেক দূরের। সেখানে এরকম ব্যাপার ঘটলে তো এটা অস্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে প্রতিবাদটা ওইভাবে ঘটে।”
জানতে চাইলে ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা বলেন, “আসলে ঘটনাগুলো এত বেশি ঘটে যে প্রতিদিনই প্রতিবাদ জানানো দরকার। আমরা সব ধরণের ধর্ষণেরই বিরুদ্ধে। কিন্তু যেসব ঘটনা বেশি আলোচিত হয় আমাদের হয়তো সেগুলোতে প্রতিবাদ জানানো হয়।”
মাদ্রাসায় ঘটা ধর্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, “আমাদের হয়তো অফিসিয়ালি প্রতিবাদ জানানো হয় না। তবে আমরা এই বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা তৈরির ব্যাপারে কাজ করি।”