
বজরংবলীর চরণে মাথানত লিওনেল মেসি: জামনগরে হনুমান মন্দিরে সন্ধ্যা আরতিতে অংশগ্রহণ
HindusNews ডেস্ক :
বিশ্ব ফুটবলের সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে স্বীকৃত লিওনেল মেসি জামনগরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী হনুমান মন্দিরে দর্শন ও প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করেছেন।
বজরংবলী হনুমানের চরণে মাথা নত করে তিনি সনাতন ধর্মের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিনয় প্রকাশ করেন। সন্ধ্যাবেলায় মেসি নিজে উপস্থিত থেকে হনুমানজির আরতিতেও অংশ নেন, যা উপস্থিত ভক্তদের মধ্যে আবেগ ও বিস্ময়ের আবহ তৈরি করে।
এই ধর্মীয় সফরটি মেসির সাম্প্রতিক ভান্তারা পরিদর্শনের ধারাবাহিকতায় এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অনন্ত আম্বানি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বন্যপ্রাণী উদ্ধার, পুনর্বাসন ও সংরক্ষণ কেন্দ্র ভান্তারায় সফরের সময় মেসি ইতোমধ্যেই সনাতন হিন্দু সংস্কৃতি, প্রকৃতি ও সকল জীবের প্রতি শ্রদ্ধার দর্শনের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত হন। জামনগরের হনুমান মন্দিরে তার এই উপস্থিতি সেই সাংস্কৃতিক সংযোগকে আরও দৃঢ় করেছে।
মন্দির প্রাঙ্গণে মেসিকে অত্যন্ত শান্ত ও মনোযোগী অবস্থায় দেখা যায়। বজরংবলীর সামনে নতমস্তকে দাঁড়িয়ে তিনি নিরবে প্রার্থনা করেন এবং পরে সন্ধ্যা আরতির সময় প্রদীপের আলো, ঘণ্টাধ্বনি ও মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে অংশ নেন।
বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়া এই ফুটবল কিংবদন্তিকে এভাবে এক সনাতন মন্দিরে আত্মসমর্পণের ভঙ্গিতে দেখা অনেকের কাছেই ছিল এক আবেগঘন ও ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
এর আগে ভান্তারায় মেসি আম্বে মাতা পূজা, গণেশ পূজা, হনুমান পূজা ও শিব অভিষেকে অংশ নিয়ে বিশ্ব শান্তি ও সকল জীবের কল্যাণ কামনা করেছিলেন।
সিংহ, বাঘ, হাতি, সরীসৃপসহ নানা উদ্ধারকৃত প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানো, এলিফ্যান্ট কেয়ার সেন্টারে মানিকলাল নামের হাতির বাচ্চার সঙ্গে খেলাধুলা এবং একটি সিংহ শাবকের নাম ‘লিওনেল’ রাখা—সব মিলিয়ে এই ভারত সফর মেসির জীবনের অন্যতম স্মরণীয় অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়েছে।
জামনগরের হনুমান মন্দিরে তার উপস্থিতি ও আরতিতে অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে মেসির এই সফর কেবল আনুষ্ঠানিক বা পর্যটনমূলক নয়, বরং এটি ছিল আধ্যাত্মিকতা, মানবিকতা এবং সনাতন মূল্যবোধের প্রতি গভীর সম্মানের প্রতিফলন।
বজরংবলীর চরণে মাথানত হয়ে দাঁড়ানো সেই দৃশ্য অনেক ভক্তের কাছে ফুটবলের G.O.A.T–কে এক মানবিক ও বিনয়ী রূপে নতুন করে চিনিয়ে দিল।